কুমড়ো শাকের রেসিপি: বাঙালি চিরকালই শাক খেতে ভালোবাসে। গ্রাম বাংলায় শাকের প্রচলন খুব বেশি। আধুনিক শহুরে সমাজ থেকে যাতে, এই খাবার হারিয়ে না যায়, তাই দেখে নেওয়া যাক, কী ভাবে রান্না করবেন কুমড়ো শাক। রেসিপি দেখে রাখুন।
কী কী লাগবে?
২০০ গ্রাম কুমড়ো শাক
১ টা আলু
১/২ পেঁপে
১ টা বেগুন
৬-৭ টা বিউলি ডালের বড়ি
১/২ চা চামচ হলুদ
২ চা চামচ পোস্ত, সর্ষে ও কাঁচা লংকা বাটা
১/২ চা চামচ চিনি
১/২ চা চামচ পাঁচফোড়ন
২ টা শুকনো লংকা
স্বাদ অনুযায়ী নুন
পরিমান মত সর্ষের তেল
কী ভাবে রান্না করবেন?
শাক ভাল করে পরিস্কার করে এভাবে ছোট ছোট পিস করে ধুয়ে রাখুন। এবার কড়াইতে সামান্য কয়েক চামচ তেল দিয়ে তাতে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে তাতে রসুন বাটা দিন। এবং ভাল করে ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে হাফ কাপ জল দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন। উনুনের আগুন মধ্যম আঁচে থাকবে। এবার লংকা, হলুদ গুড়া দিয়ে দিন। ভাল করে জ্বাল দিয়ে তেল উঠিয়ে নিন। ফাঁকে কয়েকটা কাচা/পাকা লংকা দিন।
তেল উঠে গেলে মাছ দিয়ে দিন। যে কোন জিওল মাছ বা অন্য যে কোন মাছ দিতে পারেন। রুই, কাতলা সহ যে কোন মাছই চলবে। তবে পরিমান দুই/তিন টুকরার বেশী নয়। কিংবা মাছের মাথাও দিতে পারেন। আবার মাছ না থাকলে নাই। মাছ ছাড়াও চলবে। স্বাদের সামান্য পরিবর্তন হবে মাত্র। আমরা তেলাপিয়া মাছ দিয়েছিলাম। ঢাকনা দিয়ে মিনিট ১০ এর জন্য ঢেকে দিন। সামান্য ঝোল রাখতে পারেন, ইচ্ছা হলে কমিয়ে নিতেও পারেন। তবে শাকের দিকে খেয়াল রাখবেন, কিছুতেই যেন বেশি গলে না যায়। গরম ভাতের সাথে বসে পড়ুন। দেখুন এবং খাবারের মজা নিন।
কুমড়ো শাকের উপকারিতা
কুমড়া শাক খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, চোখের সমস্যাসহ অনেক অনেক রোগ থেকে মুক্তি মেলে। যেসব মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, তাদের জন্যও কুমড়া শাক খুব উপকারী। কুমড়া পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে, যা ক্ষত সারাতে বেশ কার্যকর। শারীরিক কোনো আঘাত বা অভ্যন্তরীণ সমস্যা রোধে এই শাক বেশ উপকারী। প্রোটিন-সমৃদ্ধ কুমড়োর শাক রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এ ছাড়া এই শাক খেলে রক্তের কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। কুমড়ো শাকের রেসিপি