তেলাপিয়া মাছ চাষ
Lorai 24: তেলাপিয়া মাছ খুবই সুস্বাদু, তাই মাছ চাষী ও গ্রাহকদের কাছে এই মাছ খুবই প্রিয়। এই মাছের চাষে মোটা টাকা আয়ের হাতছানি রয়েছে৷
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদিন তেলাপিয়া মাছের চাহিদা বাড়ছে। পাশাপাশি এই মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ছে। যদি আধুনিক চাষ পদ্ধতি এবং প্রযুক্তি তেলাপিয়া মাছ চাষে ব্যবহার করা হয়, তবে এটি আরও আয় বেশি হয়।
তেলাপিয়া মাছ চাষের নিয়ম
পুকুরে তেলাপিয়া মাছ চাষ করতে হলে, অবাঞ্ছিত মাছ ও অন্যান্য প্রাণী সরিয়ে দিতে হবে। পুকুরের তলার অতিরিক্ত কাদা তুলে দিতে হবে। পুকুরটি কমপক্ষে ১.৫-৪ ফুট গভীর হতে হবে।
পশুপাখি ও সাপ থেকে মাছকে প্রতিরোধ করতে পুকুরের চারপাশে একটি জাল রাখতে হবে। তেলাপিয়া মাছের প্রজনন প্রক্রিয়া খুব কঠিন নয়।
আরও পড়ুন – নববধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠলো কাকাশ্বশুরের বিরুদ্ধে
তেলাপিয়া মাছের বৈশিষ্ট্য
পুকুরে সার প্রয়োগের ৫-৭ দিন পর পুকুরে ২১ -২৪ দিন অবধি বাচ্চা তেলাপিয়াগুলোকে রাখতে হবে। মাছের ওজন অনুযায়ী তাদের জন্য ১০-১৫% খাদ্য সরবরাহ করুন। ৪০-৬০ দিন পর তাদের অন্য পুকুরে নিয়ে যেতে হবে।
মাছ যেহেতু খুব অল্প সময়ে বাড় তাই বছরে তিন থেকে চারবার মাছ তুলে বিক্রি করা সম্ভব। ফলে নিয়ম মেনে তেলাপিয়া মাছের চাষ করলে ভাল আয়ের সুযোগ রয়েছে।
তেলাপিয়া মাছের খাবার তৈরি
১০০ গ্রাম ওজনের তেলাপিয়া কম করে হলেও পাইকারি হিসাবে পুকুর থেকেই ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবেন। তার বেশি ওজনের হলে আনুপাতিক হারে দামও বাড়বে। আর সরাসরি বাজারে খুচরো হিসাবে বিক্রি করলে কম করে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি সম্ভব।
তেলাপিয়ার খাদ্য প্রয়োগেও বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।তেলাপিয়া মাছের পাকস্থলী ছোট এ জন্য এই মাছকে অল্প অল্প করে দিনে ৪ বার খাবার দিলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছেকেউ যদি দিনে ২ বার খাবার দেন তাহলে ৪ বার খাবার দেয়ার তুলনায় growth কম হয়।
তেলাপিয়া মাছের সমস্যা
তেলাপিয়ার চাষে আরেকটা বড় সমস্যা হল রাতের বেলায় অক্সিজেন ঘাটতি হওয়া। যদিও অক্সিজেন ঘাটতিতে এইমাছ তেমন একটা মারা যায়না।
তেলাপিয়া মাছ চাষ