লড়াই ২৪ ডেস্ক: সামনে ২০২৩ বিধানসভা ভোট আর তার আগেই রদবদল ত্রিপুরার রাজনীতিতে। আই প্যাক কর্মীদের হোটেলবন্দি রাখা এবং মামলা দায়েরের ঘটনায় যখন সরাসরি সংঘাতে তৃণমূল-বিজেপি। সেই সময়ে প্রাক্তন মন্ত্রী সহ সাত প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিলেন ঘাসফুলে। বৃহস্পতিবার ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন তারা।
প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ চন্দ্র দাস, প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক, পান্না দেব, মহম্মদ ইদ্রিশ মিয়া, প্রেমতোষ দেবনাথ, বিকাশ দাস, তপন দত্তর মতো হেভিওয়েট নেতারা এদিন যোগ দেন তৃণমূলে। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, কোভিড বিধিনিষেধের জন্য ত্রিপুরায় বাঁধা পাচ্ছে দলীয় কাজ কর্ম। একইসঙ্গে তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সরকারকে আই প্যাক কর্মীদের ওপর হেন্সথা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন, আই প্যাক কর্মীদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়ে রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে সিধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকতে।
আরও পড়ুন………….শঙ্কা বাড়াচ্ছে সংক্রমণ, আক্রান্ত ৪০ হাজার
এদিন প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক জানান, মানুষের স্বার্থে এবং সময়ের দাবি মেনেই তিনি তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এই নিয়ে সাতবার দলবদল করলেন সুবল ভৌমিক। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি সহ সভাপতি ছিলেন তিনি। এরপর তিনি যোগ দেন কংগ্রেসে। তারপর কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে দাঁড়ান কিন্তু বিজেপির প্রতিমা ভৌমিকের কাছে হেরে যান তিনি।
তবে এবার ফের এক নতুন পথে চলতে শুরু করলেন সুবল। তিনি জানিয়েছেন, “আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লড়াই করছেন তা দেশ জুড়ে মানুষ দেখছেন। তিনি একমাত্র নেত্রী যিনি এই দেশকে উন্নয়নের সঠিক পথে নিয়ে যাবেন।” বিজেপির সরকারকে তুমুল কটাক্ষ করে তাঁর হুঁশিয়ারি, “ত্রিপুরাতে জঙ্গলরাজ চলছে। এখানে মানুষের কোনো স্বাধীনতা নেই, বাকস্বাধীনতা নেই, গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। শাসক দল সব কিছু করতে পারে, সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো দুর্বল করে দিয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে।” তিনি আর বলেন, “২০২৩ নির্বাচনে ত্রিপুরায় খমতায় আসবে তৃণমূল। বিজেপি একটাও আসন পাবে না।”