লড়াই ২৪ ডেস্ক: করোনায় শিকেয় শিক্ষা। গত দেড় বছর ধরে বন্ধ শিক্ষাব্যবস্থা। করোনার জেরে একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে বললেই চলে। খুদে পড়ুয়া থেকে বড়রা সকলের ভরসা হাতের ওই ৫ ইঞ্চির মোবাইল ফোনটি। কিন্তু সচ্ছল পরিবারের পড়ুয়ারা একটা স্মার্ট ফোন নিতে পারলেও ঘোর সমস্যায় পড়েছে কম আয়ের পরিবারগুলি ছাত্রছাত্রীরা। ফলত অনেকেরই বন্ধ হয়ে গেছে লেখাপড়া। একটি সমীক্ষার রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, গ্রামাঞ্চলে মাত্র ৮ শতাংশ শিশু-পড়ুয়া অনলাইনে ক্লাসের সুযোগ পায়।
একটি বড় অংশের খুদে পড়ুয়াদের দুর্ভোগ চরমে। শিশু পড়ুয়াদের একটি বড় অংশকে নিয়ে ঘোর উদ্বেগে তাদের অভিভাবকরা। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দেশের গ্রামাঞ্চলের মাত্র ৮ শতাংশ খুদে পড়ুয়া অনলাইনে ক্লাসের সুযোগ পাচ্ছে। শহরাঞ্চলে সংখ্যাটা ২৪ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে অনেক পরিবারেই স্মার্ট ফোন নেই। অনেকের আবার কেনার সামর্থ্যও নেই। ফলত, একেবারে শিকেয় উঠে যাচ্ছে সেই সব পরিবারের পড়ুয়াদের পড়াশোনা। নয়া একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই মুহূর্তে গ্রামাঞ্চলের মাত্র ৮ শতাংশ খুদে পড়ুয়া অনলাইনে ক্লাস করলেও ৩৭ শতাংশ শিশুর বন্ধ হয়ে গিয়েছে পড়াশোনা।
Read more…………………….গৃহবন্দি পিডিপি নেত্রী, কাশ্মির নিয়ে বিশেষ মন্তব্য টুইটারে
এছাড়াও অতিমারিকালে বেড়েছে সরকারি স্কুলে ভর্তির প্রবণতা। অতিমারির কারণে অনেকের বন্ধ হয়ে গিয়েছে রুজি-রোজগার, কারোর আবার বেতন ছেঁটে নেমে গেছে ৫০ শতাংশে। এই পরিস্থিতি বড় বড় বেসরকারি স্কুলের মাইনে মেটাতে নাভিশ্বাস উঠে আসছে অনেক মা-বাবার। ফলত, বাধ্য হয়েই বেসরকারি স্কুল ছাড়িয়ে সরকারি স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করতে হচ্ছে।
অগাস্ট মাসে অর্থনীতিবিদ জিয়ান ড্রেজি, ঋতিকা খেরা ও গবেষক বিপুল পাকিরার নেতৃত্বে দেশের ১৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৪০০ পড়ুয়ার উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। অসম, বিহার, চণ্ডীগড়, দিল্লি, গুজরাত, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহরাষ্ট্র, ওড়িশা, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মোট ১৪০০ পডুয়ার উপর এই সমীক্ষা চলে।