দাদাদের লাগাতার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ১২ বছরের কিশোরী
গুজরাট: মনুষ্যত্ব যে দিন দিন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে তা প্রমান করে এই সব ঘটনা। দাদা ও বোনের সম্পর্ক এক বন্ধনের। মবোনকে সমস্ত রকম বিপদ থেকে আগলে রাখাই এক দাদার কর্তব্য। কিন্তু, আজকের সমাজে দাড়িয়ে মানুষের মনুষ্যত্ব এত নিচে নেমে গাছে যে, যেখানে দাড়িয়ে বোনের সর্বনাশ করতেও হাত কাঁপে না। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে গুজরাটে। তিন তুতো দাদার গণধর্ষণের জেরে গুজরাতের নওসারী জেলায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বছর বারোর এক কিশোরী।
বিগত পাঁচ মাস ধরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। জিগ্যাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছে ধর্ষিতা। কিশোরী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে, সম্প্রতি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখনই এই ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে।
ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা একজন খেতমজুর। জানা যায়, পাঁচ মাস আগে তুতো দাদাদের একজন প্রথম ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। এর পর সে আরও দুই ভাইকে ঘটনার কথা জানালে, তারাও ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। কিশোরী যাতে মুখ বন্ধ রাখে, তার জন্য হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা।
এরপর বিগত পাঁচ মাস ধরে নানা সময়ে একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাড়িতে অভিভাবকেরা কেউ না থাকলে, সেই সুযোগে যৌন নিগ্রহ করত তুতো দাদারা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা প্রত্যেকে নাবালক। বয়স ১৮ বছরের নীচে।
দিন কয়েক আগে মেয়েটির পেটে ব্যথা শুরু হলে, মা তাকে নিয়ে হাসপাতালে যান। পরীক্ষা করার পর ডাক্তাররা জানান, কিশোরী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। চিকিত্সার জন্য বুধবার দাদাদেররাতে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাকে অন্য হাসপাতালে শিফট করা হয়। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার বয়ান নিয়েছে পুলিশ। মেয়েটির মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেছে।
পুলিশ জানায়, কিশোরীর সম্পর্কিত দাদা তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে তারা ফেরার। খুব শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে। অভিযুক্তরা নাবালক হওয়ায় পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।