পেটে সংক্রমণের লক্ষণ: ডায়রিয়া বা বমির সমস্যা 24 ঘন্টার বেশি সময় ধরে চলতে থাকলে সতর্ক হোন। ক্রমাগত জ্বর, প্রচণ্ড ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, ওজন কমে যাওয়া, বমি, প্রস্রাবে রক্ত ও মলের মতো গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ।
কোনো না কোনো সময়ে আপনি নিশ্চয়ই বাইরে থেকে খারাপ খাবার খেয়েছেন, যার কারণে ফুড পয়জনিং বা পেটে সংক্রমণ হতে পারে। এর পরে, ডায়রিয়া, বমি, ব্যথার মতো সমস্যাগুলিও আনতে হবে। এই রোগগুলো চিকিৎসার মাধ্যমে কয়েক দিনের মধ্যে নিরাময় করা যায়। কিন্তু আপনার যদি দীর্ঘদিন ধরে পেটে ব্যথা হয়, তাহলে এটাকে হালকাভাবে নেবেন না। আপনার অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
পেটে ব্যথা গুরুতর কি না জেনে নিন
যাইহোক, ব্যথা গুরুতর কি না পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত করা কঠিন। কারণ এটি অনেক রোগে ঘটে, যার মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য, ফুড পয়জনিং এবং পেটের ফ্লু। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেটে ব্যথার কিছু কারণ রয়েছে, যা গুরুতরতার ইঙ্গিত দেয়। এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে চিকিৎসা করাতে হবে।
ডায়রিয়া বা বমির সমস্যা যদি 24 ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, তাহলে সতর্ক হোন। ক্রমাগত জ্বর, প্রচণ্ড ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, ওজন কমে যাওয়া, বমি, প্রস্রাবে রক্ত ও মলের মতো গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ। অন্যদিকে, কয়েকদিনের মধ্যে পেটের ব্যথায় উপশম না হলে বা অসহ্য হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পেটে ব্যথা সবসময় শুধু পেটের সাথে সম্পর্কিত নয়। অনেক সময় মানুষ পেটের কাছে হওয়া ব্যথাকে পেট ব্যথা বলে মনে করে। কিন্তু আশেপাশের কোনো অঙ্গে ব্যথা হলে তা আপনার পাঁজর ও শ্রোণীতে প্রভাব ফেলতে পারে।
এগুলো হল পেটে ব্যথার কারণ ও লক্ষণ
cholecystitis
এতে পিত্তথলিতে ফোলাভাব দেখা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ঠাণ্ডা, জ্বর, খাবার খাওয়ার পর ব্যথা হওয়া।
প্যানক্রিয়াটাইটিস
অগ্ন্যাশয়ে প্রদাহ হয়। এটি পেটের উপরের মাঝামাঝি অংশে শুরু হয় এবং পিছনে এবং বুক পর্যন্ত যেতে পারে। এর লক্ষণগুলো হলো দ্রুত হৃদস্পন্দন, পেট ফুলে যাওয়া, ব্যথা, বমি, জ্বর।
বিরক্তিকর পেটের সমস্যা
এই রোগটি গুরুতর নয় তবে ব্যথা আপনাকে দু: খিত করতে পারে। এ কারণে পেটের নিচের অংশে ব্যথা হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, ডায়রিয়া, ফোলাভাব এবং পেটে খসখসে সমস্যা হয়।