আচমানকে হিন্দুধর্মে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। যে কোন ইবাদত শুরু করার আগে আছমান করতে হবে। পূজার আগে আচমন করলে শরীর শুদ্ধ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। আছমান করার পদ্ধতি ও গুরুত্ব শাস্ত্রে বলা হয়েছে।
পূজায় আচমনের গুরুত্ব: হিন্দু ধর্মে পূজা সংক্রান্ত অনেক পদ্ধতি ও নিয়ম বলা হয়েছে। পূজার আগে এবং পূজার পরে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। এর মধ্যে একটি হল আছমান পদ্ধতি। আচমন ইবাদতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আচমনের পদ্ধতি, গুরুত্ব ও উপকারিতা শাস্ত্রে বলা হয়েছে। ইবাদতের পূর্বে আছমান করাও আবশ্যক কারণ ইহা ব্যতীত ইবাদত সম্পূর্ণরূপে গণ্য হয় না। যে কোনো ইবাদতে শরীরের পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীর শুদ্ধ করার এই প্রক্রিয়াকে আচমন বলে। আচমনের স্পষ্ট অর্থ পবিত্র জল পান করা।
পুজোর আগে শুদ্ধির জন্য জপ সহ বিশুদ্ধ জল নেওয়া হয়। বিশুদ্ধ পানি খাওয়ার এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় আচমন। এই পদ্ধতিতে
আচমন পূজা শুরু করার আগে পূজা সংক্রান্ত যাবতীয় উপকরণ সংগ্রহ করুন। এছাড়াও, তামার পাত্রে গঙ্গাজল বা বিশুদ্ধ জল রাখুন। এর মধ্যে তুলসী ডালও দিন। এছাড়াও একটি তামার পাত্রে একটি তামার আচমনি (একটি ছোট চামচ, যা থেকে জল বের করা হয়) রাখুন। পূজা শুরু করার আগে ভগবানের ধ্যান করার সময় আচমনি থেকে জল বের করে তালুতে রেখে পান করুন। এই প্রক্রিয়াটি তিনবার করুন।আচমনের জন্য মন্ত্র
আচমনের জন্য বিশুদ্ধ জল গ্রহণের সময় জপ করা আবশ্যক। মন্ত্রটি জপ করার সময় ‘ ওম কেশবায় নমঃ ওম নারায়ণায় নমঃ ওম মাধবায় নমঃ ওম হৃষীকেশায় নমঃ’ জপ করতে হবে। এছাড়াও মনে রাখবেন যে আচমন করার পরে, আপনার কপাল এবং কান স্পর্শ করে আপনার হাত প্রণাম করুন।পরপর তিনবার আছমান জপ করলে ইবাদতে মন, কথা ও কাজের পবিত্রতা বজায় থাকে এবং ইবাদতে ভগবান সন্তুষ্ট হন এবং আশীর্বাদ পান।
আচমন করার সময় দিকটি মাথায় রাখুন
; পূজা পদ্ধতিতে দিকনির্দেশের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে কারণ ভুল পথে পূজা করলে তার ফল পাওয়া যায় না। আচমন করার সময় মনে রাখবেন আপনার মুখ যেন পূর্ব, উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে থাকে।