লড়াই ২৪ ডেস্ক: “শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করবো” এমনটাই শোনা যাচ্ছে এখন আফগানিস্তানের রাস্তায়। একদিকে অত্যাধুনিক বন্দুক হাতে তালিবান। পান থেকে চুন খসলেই খতম। কিন্তু তাকেও পরোয়া করে না তাঁরা। কারণ চাই তাঁদের সমানাধিকার। তাই এই অধিকারকে ছিনিয়ে নিতে রাস্তায় নামতেও ভয় পান না তাঁরা। রীতিমতো প্ল্যাকার্ড হাতে, ধ্বনি তুলে তালিবান শাসনে সমানাধিকারের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
ঘটনা হেরাটের। প্রগতিশীল এই শহরের নারীরা বিগত ২০ বছর আগে তালিবানরাজ শেষ হওয়ার পর থেকে স্বাধীনভাবে জীবনজাপন করতেন। স্কুল, কলেজ, অফিস সব জায়গাতেই নারীদের অধিকার সমান ছিল। কিন্তু সেসব এখন আবার অতীত। দেশ ফের কবজা করে বসেছে তালিবানরা। স্বংয়সম্পূর্ণ মহিলারা আপাতত তালিবান নির্দেশে ঘরবন্দি। যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন মহিলারা। প্ল্যাকার্ডে লিখে, স্লোগান দিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজে তাঁদের সমানাধিকারের দাবি জানাচ্ছেন। নিন্দা করছেন তালিবান শীর্ষ নেতা মহম্মদ আব্বাস স্তানেকাজাইয়ের মন্তব্যে।
আরও পড়ুন……………………দেবী দুর্গার রূপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উদ্যােগ নজরুল পার্ক উন্নয়ন সমিতির
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মহম্মদ আব্বাস স্তানেকাজাই জানিয়েছেন, নয়া সরকারে মহিলাদের কোনো মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে না। এদিকে কাবুল দখলের পর তারা আশ্বাস দেয়, রাজনীতিতে যোগদান করতে পারবেন মহিলারা। যোগ্যতা অনুযায়ী মিলবে পদ। কিন্তু এখন সেই আশ্বাস অতীত। অপরদিকে আবার তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদের নির্দেশ, ‘স্বাস্থ্য ক্ষেত্র ছাড়া আপাতত আফগান মহিলারা কোনো কাজে যোগ দিতে পারবে না।’
শুক্রবারই তালিবানরা গঠন করতে পারে সরকার। আর তার আগেই নিজস্ব অধিকার ছিনিয়ে নিতে মরিয়া আফগান মহিলারা। দাবি আদায়ে তালিবানদের দেখে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই বলে বলছেন তাঁরা। উল্টে হেরাট থেকেই আন্দোলনের তীব্রতা দেশের ৩৪টা প্রদেশে ছড়িয়ে দিতে চায় বিক্ষোভকারী নারীর দল।
এক আন্দোলন কর্মী বাসিরার বয়ানানুযায়ী, “মহিলাদের ছাড়া সরকার ভালো করে চলতে পারে না। এটা তালিবানদের বোঝাতে হবে। সমাজের সর্বত্র চাই নারীদের সমানাধিকার। এটাই আন্দোলনের মূল লক্ষ।”