করোনার পর এবার প্লেগ, মহামারীর আশঙ্কায় ভয়ে কাঁপছে চিন
চিন: একে করোনায় রক্ষে নেই, তার উপর দোসর হল প্লেগ। এমনই অবস্থা চিনে। করোনার পর বুবোনিক প্লেগের ভয়ে কাঁপছে সে দেশ। এখনও পর্যন্ত মাত্র দুজন রোগীর সন্ধান মিললেও পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে লেভেল-থ্রি সতর্কবার্তা জারি করতে বাধ্য হয়েছে সে দেশের কমিউনিস্ট সরকার।
তাঁদের দাবি, সংক্রমণে এখনই লাগাম না পরানো গেলে তা আরও এক মহামারীর আকার নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত শনিবার বায়ান্নুরের একটি হাসপাতালে প্লেগে আক্রান্ত হওয়া ঘটনা সামনে এসেছে। এরপরই প্রশাসনিক মহলে হইচই পড়ে যায়। এরপরই তড়িঘড়ি রবিবার বায়ান্নুর এবং মঙ্গোলিয়া প্রদেশের কিছু অংশে লেভেল-থ্রি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। চলতি ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি থাকবে।
পশ্চিম মঙ্গোলিয়ার খোভদ প্রদেশে সম্প্রতি দুই সম্ভাব্য বাবোনিক প্লেগ রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজনের বয়স ২৭ বছর এবং অন্য জনের বয়স ১৭ বছর। তাঁরা সম্পর্কে দুই ভাই।
হাসপাতালে দু’জনের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের সংস্পর্শে আশা আরও ১৪৬ জনকে চিহ্নিত করে আইসোলেট করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দুই ভাই মারমেটের মাংস খেয়েছিলেন। সেখান থেকেই এই রোগ ছড়িয়েছে বলে খবর।
যার জেরে মারমোটের মাংস না খাওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফে বাসিন্দাদের কাছে আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে শিকার করার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্লেগ মহামারীর আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।’
প্রসঙ্গত, বুবোনিক প্লেগ ব্যাকটেরিয়া ঘটিত একটি ভয়াবহ রোগ। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।