পেছতে পারে ‘গগনযান’ উৎক্ষেপণ, করোনা আবহে বড় সিদ্ধান্তের পথে ইসরো
করোনা সংক্রমণের কারণে বিশ্বের সব কাজে বাধা পড়েছে। এবার ভারতের মহাকাশ মিশন ‘গগনযান’ উৎক্ষেপণও পিছিয়ে যেতে পারে এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
এই মিশনের আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম পর্যায়ের মানবহীন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানের করোনা সংক্রমণের আবহে তা সম্ভব নয় বলেই ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্তা ইসরো সূত্রে খবর।
গগনযান মিশনের আগে দুটি মানবহীন মহাকাশ মিশনের পরিকল্পনা নিয়েছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরো। তার মধ্যে প্রথম পর্যায়ের উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছর ডিসেম্বর মাসে। পরবর্তী পর্যায়ের উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে। তারপরে ২০২২ সালে গগনযান পাড়ি দিত মহাকাশে।
জানা গিয়েছে, এই মিশন পিছিয়ে দেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই স্পেস কমিশনকে জানানো হয়েছে। এই স্পেশ কমিশনের প্রধান হলেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবণ। দু’বছর আগে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এই গগনযান মিশনের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০২২ সালে ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের সময় তিন মহাকাশচারীর একটি দলকে গগনযান মিশনের মাধ্যমে ৫ থেকে ৭ দিনের জন্য মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ীই কাজ শুরু করেছিল ইসরো।
তার আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ও ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে দুটি মানবহীন মহাকাশ মিশনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই দুটি মিশনের পরেই মহাকাশচারীদের নিয়ে উড়ে যেত গগনযান।
এর আগেই অবশ্য ইসরো জানিয়েছিল, করোনা অতিমারীর ফলে একাধিক মহাকাশ পরিকল্পনা পিছিয়ে যেতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রোজেক্ট গুলি হল চন্দ্রযান-৩ ও গগনযান। এই বছরের শেষেই চন্দ্রযান ৩ মিশনের পরিকল্পনা ছিল।
ইসরোর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমরা ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের ডেডলাইনে প্রথম মানবহীন মহাকাশ যান উৎক্ষেপণ করতে পারব না। করোনা সংক্রমণের জন্য এই দেরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই তা স্পেস কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, ইসরোর একাধিক সেন্টারের কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার ফলে শুধুমাত্র জরুরি কাজ চলছে। এমনকি রাশিয়ায় যে চার মহাকাশচারীর প্রশিক্ষণ নিতে যাওয়ার কথা ছিল, তাও করোনা সংক্রমণের কারণে অনেকদিন পিছিয়ে সবে শুরু হয়েছে।
গগনযান মিশনে মহাকাশের নীচের কক্ষ অর্থাৎ ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে থাকার কথা এই মহাকাশযানের। এই মিশনের খরচ হওয়ার কথা ১০ হাজার কোটি টাকার কম। কিন্তু বর্তমানে করোনা আবহে সেই মিশন পিছিয়ে যেতে পারে বলেই ইসরো সূত্রে খবর।