BREAKING: ফের লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে সংঘাত, বিশ্বাসঘাতকতা বেজিংয়ের

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now
Instagram Channel Follow Now

ফের লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে সংঘাত, বিশ্বাসঘাতকতা বেজিংয়ের

কাশ্মীর: প্যাঙ্গং লেকের দক্ষিণে পাহাড়ি এলাকায় ফের ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘাতে জড়াল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি।জানা গিয়েছে, ২৯ জুলাই রাত থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল প্যাঙ্গং সো-তে।

https://news.google.com/publications/CAAqBwgKMJ-knQswsK61Aw?hl=en-IN&gl=IN&ceid=IN:en

এরপর গতকাল রাতে প্যাঙ্গং হ্রদের তীরে ভারতীয় নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় চিনের সেনা ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলেই ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।

কর্ণেল আমান আনন্দ বলেছেন, প্যাঙ্গং লেকের উত্তরে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল লাল ফৌজ। প্যাঙ্গং হ্রদের জলে তাদের হাই-স্পিড ইন্টারসেপটর বোটও ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছিল। এবার দক্ষিণ অংশ দিয়ে ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে চিনের বাহিনী।

লাদাখ সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য চুসুল সীমান্ত লাগোয়া চিন-নিয়ন্ত্রিত মলডোতে দুই দেশের সেনা কম্যান্ডারের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। কিছুদিন আগেই ফের বৈঠক হয় ভারতীয় সেনার ১৪ নম্বর কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরেন্দ্র সিংহ এবং চিনের শিনজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিনের।

সূত্রের খবর, এই বৈঠকের পরেও পূর্ব লাদাখের বেশ কয়েকটি স্পর্শকাতর এলাকা থেকে সেনা সরাতে রাজি হয়নি চিন। প্যাঙ্গং লেক সহ পূর্ব লাদাখের একাধিক এলাকা থেকে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের জন্য চিনের উপর চাপ বাড়িয়েছে ভারত।

ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, প্যাঙ্গং এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা সরাতে শুরু করে দু’পক্ষই। কিন্তু ভারতীয় জওয়ানরা বলেছেন, প্যাঙ্গং সো-তে সামান্য পিছু হটলেও নিজেদের ছাউনি ও অস্ত্রশস্ত্র পুরোপুরি সরিয়ে নিয়ে যায়নি চিনের সেনা।

এমনকি সেনা সূত্র এও জানাচ্ছে, গালওয়ান নদী উপত্যকা বরাবর চিনা বাহিনীর সাঁজোয়া গাড়িও দাঁড়িয়ে রয়েছে এখনও। নদী উপত্যকায় তারা কংক্রিটের কালভার্ট তৈরি করেছিল। সেই পরিকাঠামো এখনও রয়েছে।

১৫ জুন হট স্প্রিং লাগোয়া ১৫ নম্বর পেট্রলিং পয়েন্টে চিনের বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘাত হয় ভারতীয় সেনা জওয়ানদের। ভারতীয় সেনার অন্তত ২১ জন শহিদ হন ওই সংঘাতে। অন্যদিকে, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ৪৩ জন সৈনিকের নিহত হওয়ার খবর মেলে।

এরপরে ৯ মে সিকিম-চিন সীমান্তে নাকু লা-তে দু’দেশের প্রায় দেড়শ সেনা মুখোমুখি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। তাতে দু’পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, ১৫ জুন সংঘাতের পরে গালওয়ান নদীর উপরে কালভার্ট তৈরি করে অস্ত্রশস্ত্র বয়ে আনা শুরু করে চিনের বাহিনী। নদী উপত্যকার আশপাশে তৈরি করে সামরিক পরিকাঠামো।

তবে গালওয়ানের সংঘর্ষের পর থেকে এই দেপসাং ভূমিতেও ঘাঁটি গেড়ে বসেছেন চিনা বাহিনী।

এই খবরটা তাঁর সঙ্গে শেয়ার করুন, যার এটা জানা দরকার

Make your comment