কলকাতা: চাকরির দাবিতে এবার লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে বসেই নেওয়া হল গণ প্রতিবাদ এবং অভিযোগ কর্মসূচি। শিক্ষিত বেকার যুবকদের চাকরি ও ভাতার দাবিতে এবার সরব হল, অল বেঙ্গল ইউথ ওয়েলফার অ্যাসোসিয়েশন।
সারা পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম অরাজনৈতিক সংগঠন ABYWFA। ২০১২ সালে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ এর নাম নথিভুক্ত থাকা বেকার যুবক ও যুবতী কর্মপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বর্তমান সরকার এম্প্লয়মেন্ট ব্যাংক নামে একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করেন। উক্ত পটালে নাম নথিভুক্ত করা প্রথম এক লক্ষ বেকার কর্মপ্রার্থীদের ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর নেতাজি ইন্দোর স্টেডিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে যুবশ্রী নামের স্বীকৃতি এবং মর্যাদা দেন স্বয়ং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।
এই এক লক্ষ বেকার কর্মপ্রার্থীদের মাসিক ১৫০০ করে উৎসাহ ভাতা চালু করা হয়। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সহ তৎকালীন সময় মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু মহাশয় উপস্থিত। কর্মপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বয়সের যোগ্যতার ভিত্তিতে সহকারী পদে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছর অতিক্রম করার পরেও অবস্থা যেই তিমিরে ছিল, কার্যত রয়ে গেছে সেই তিমিরে।
এই বার কোমর বেঁধে নেমেছেন প্রার্থীরা। একে অপরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন এই সংগঠন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী থেকে শ্রম মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য কার্যালয় থেকে সমা দপ্তর সমস্ত কার্যালয় বহুবার এই বেকার সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে বহুবার বেকার কর্মপ্রার্থীদের আর্তনাদের কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু উক্ত দপ্তর গুলি নীরব বলে দাবি ওই সংগঠনের।
চলতি বছরের ১২ ফেবত্রুয়ারি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে যুবশ্রী বিষয়ে বর্তমান শ্রম মন্ত্রী মাননীয় মলয় ঘটক মহাশয়কে দুটি বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রথমত: বন্ধ ভাতা চালু করার বিষয়ে এবং যুবশ্রী প্রকল্প থেকে কেন চাকরি হচ্ছে না??? এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন খতিয়ে দেখার জন্য, কিন্তু সেক্ষেত্রেও কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে জানিয়েছেন, এই সংগঠনের প্রার্থীরা।
বর্তমানে সারা বিশ্বের তথা দেশ এমনকি রাজ্যের এই কঠিনতম করুণ পরিস্থিতিতে নিরুপায় হয়ে পড়ে আছেন এই সংগঠনের মেম্বাররা। বহু বেকার কর্ম প্রার্থী আজ অসহায়। এই পরিস্থিতিতে ১০ জুন তারিখে অল বেঙ্গল ইউথ ওয়েলফার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাড়িতে বসে অনলাইনে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত এক গণ প্রতিবাদ এবং অভিযোগ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিলো। সরাসরি শ্রমদপ্তরের ওয়েবসাইটে এই দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাতা প্রাপক বেকার যুবশ্রী কর্মপ্রার্থীরা সরকারকে দুটি বিষয়ে আলোকপাত করেছে, প্রথমত, তাঁদের দাবি বন্ধ ভাতা অবিলম্বে চালু করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘ ৭ বছর আগের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী “ভাতা নয় চাকরি চাই” এই দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।