অ্যালোভেরার উপকারিতা: অ্যালোভেরা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণে ভরপুর, তাই আমাদের দাদিরা শীতকালে অ্যালোভেরার লাড্ডু তৈরি করতেন। অ্যালোভেরার জুস পান করাও অনেক উপকারী।
অ্যালোভেরার জুসের উপকারিতা: অ্যালোভেরায় অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। অ্যালোভেরা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। অ্যালোভেরার জুস পান অনেক রোগে উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন বি১২। সোডিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ অ্যালোভেরাতে পাওয়া যায়, যা অনেক রোগে উপকারী। বিশেষ করে শীতকালে অ্যালোভেরা পানীয় পান করা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। আসুন জেনে নিই অ্যালোভেরা পানীয় পান করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরার জুস কীভাবে তৈরি করবেন
অ্যালোভেরার খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এবার গরম পানিতে ফুটাতে দিন। কিছুক্ষণ ফুটানোর পর অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ পানিতে প্রবেশ করবে। এখন এই পানি ফিল্টার করার পর খালি পেটে পান করতে পারেন।
হজমের জন্য ভালো
অ্যালোভেরার রস হজমের জন্য খুবই উপকারী। এতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও বদহজমের সমস্যা দূর করে। মলত্যাগে অসুবিধা হলে প্রতিদিন সকালে অ্যালোভেরার রস পান করা উচিত।
অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি
অ্যালোভেরার রসে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি বাড়ায়। অ্যালোভেরার জুস পান করলে ঠাণ্ডা ও ফ্লু-এর মতো রোগ উপশম হয়।
ওজন কমানো
অ্যালোভেরায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যালোভেরার জুস পান করলে প্রচুর শক্তি পাওয়া যায়। এই জুস মেটাবলিজম উন্নত করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য উপকারী
অ্যালোভেরা শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, ত্বকের জন্যও উপকারী। অ্যালোভেরায় রয়েছে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি যা ত্বকের জন্য উপকারী। অ্যালোভেরার জুস পান করলে ব্রণ, বলিরেখা এবং শুষ্কতার মতো অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।