সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সহ সাক্ষাত ভারত-চীনা বিদেশমন্ত্রীর
নয়াদিল্লি: লাদাখে ক্রমশই বাড়ছে উত্তেজনা। আর তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ অন্তত তিনবার মুখোমুখি হবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ও চিনে বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। তবে সকলের নজরের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্য়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।
এছাড়াও SCO-এর অন্তর্গত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন এই দুই নেতা। এরপর Russia-India-China এর বৈঠকেও থাকবেন তাঁরা। ওয়াং ই-এর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে পরিচয় জয়শংকর। সেই পরিচিতির সুযোগ নিয়ে তিনি যে ভারতের অবস্থান দ্বার্থ্যহীন ভাবে বুঝিয়ে দেবেন, সেটা বলা বাহুল্য।
সোমবার প্যাংগন তসো-এর দক্ষিণ তীরে একটি নতুন জায়গার বিপরীতে আলোচনা হবে বলে জয়শঙ্কর-ওয়াং জানান। গালওয়ান উপত্যকায় ১৪ ই জুনের সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা দেশের জন্য মারা গিয়েছিল। ৪৫ বছরে এলএসি-এর সাথে প্রথমবার গুলি চালানো হয়েছিল।
ভারত জানিয়েছে যে, শূনে গুলি চালিয়ে চিনা সেনারা তাঁদের পিছু হটতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু, চীন দাবি করেছে যে “এলএসি পার হওয়ার পরে” ভারতীয় সেনারা গুলি বর্ষণ করেছিল। কিন্তু এই ঘটনা ভারত দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছিল।
মিঃ জয়শঙ্কর গত সপ্তাহে পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতিকে “অত্যন্ত গুরুতর” বলে বর্ণনা করেছিলেন। সঙ্গে তিনি এও বলেছিলেন যে, উভয় পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক পর্যায়ে “অত্যন্ত গভীর আলোচনার দরকার।
গত শুক্রবার মস্কোয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও তার চীনা সমকক্ষ ওয়েই ফেনঘি আরেকটি এসসিও বৈঠক করেন। বৈঠক শেষের তিন দিন পর সর্বশেষতম ঘটনাটি ঘটেছে। রাজনাথ সিং ওয়েইকে বলেছিলেন যে, এলইসি বরাবর একতরফাভাবে স্থিতিশীল অবস্থা পরিবর্তনের জন্য চীনা সেনাদের প্রচেষ্টা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘন।
এছাড়া বেইজিংয়ের উচিত নয়াদিল্লির সাথে প্যানগং তসো সহ সমস্ত ঘর্ষণ ক্ষেত্র থেকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হওয়ার জন্য কাজ করা।
গতকাল, এক শীর্ষ সরকারী সূত্র জানিয়েছে যে, এখনই অঞ্চলজুড়ে কোনও দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে সূত্র জানিয়েছে যে, কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে সংলাপ ও জড়িত থাকার সুযোগ রয়েছে।