নদিয়া: পুরো পরিকল্পনাটাই নিছক শখে করা হয়েছিল। তবে তার ফল হয়েছে আশানুরূপ। বাংলার মাটিতে আপেল চাষ করে নতুন এক ভাবনা নিয়ে এল নদিয়ার ছেলে প্রসেনজিৎ। মুম্বাই-এ দাদার বাড়িতে গিয়েছিল প্রসেনজিৎ। সেখানে ছাদে টবে আপেল, ন্যাস্পাতি ফলানো দেখে প্রথম অনুপ্রেরনা পায় নদীয়ার বগুলার কৌতুকনগরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ বিশ্বাস।
১০ কাঠা চাষের জমির মধ্যেই ১৩ মাস আগে উপরে নাইলন নেট এবং চারিদিকে লোহার নেট দিয়ে ঘিরে লাগিয়েছিল মোট ৪০ টি আপেল গাছ। এক একটি চারার দাম ৩ হাজার টাকা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ৪টি গাছ মারা গেলেও স্বপ্ন পূরণ হয়েছে ৩৬ টি গাছে।
প্রসেনজিৎ জানান, আমেরিকা ও ইজরাইলের ৩ জাতের আপেল গাছ আছে তাঁর বাগানে। এই গাছগুলি ৬৫° উষ্ণতা সহ্য করতে সক্ষম। সার, ওষুধ, বাগান ঘেরা ও পরিচর্যার জন্য বেশ কিছু টাকা খরচ হয়েছে। একটি গাছ থেকে ৪০ বছর ধরে বছরে দু’বার করে ফল ঘরে তোলা যাবে। যত বয়স বাড়বে গাছের আকৃতি অনুযায়ী ফলনও তত বাড়বে।
এলাকাবাসীও খুশি ও আশাবাদী তাঁর এই আপেল চাষ নিয়ে। আগামী দিনে ন্যাশপাতি, আঙ্গুর সহ আরও বিভিন্ন রকমের ফল পরীক্ষা করতে রাজি আছেন প্রসেনজিৎ। এক্ষেত্রে কৃষিবিজ্ঞানী ডক্টর অনিস দাস জানান, এই রাজ্যে ইসরাইলের একটি প্রজাতির আপেল গাছ রয়েছে, তার রঙও বেশ ভালো। এই রাজ্যের কোথাও কোথাও আপেল চাষ হচ্ছে।