নৃশংস! স্কুলের ঘর থেকে উদ্ধার শিক্ষিকার বিবস্ত্র মৃতদেহ

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now
Instagram Channel Follow Now

নৃশংস! স্কুলের ঘর থেকে উদ্ধার শিক্ষিকার বিবস্ত্র মৃতদেহ

আসাম: প্রায় ৩৬ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর মঙ্গলবার স্থানীয় একটি স্কুলঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক শিক্ষিকার মৃতদেহ। তার পরনের পোশাক ছিল এলোমেলো ও ছেঁড়া। মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয় অ্যাসিডে। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন।

https://news.google.com/publications/CAAqBwgKMJ-knQswsK61Aw?hl=en-IN&gl=IN&ceid=IN:en

পুলিশের ধারণা, শিক্ষিকাকে মেরে ফেলার আগে তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। তারপর মুখ বিকৃত করে দেওয়া হয় অ্যাসিডে। শিক্ষিকা হত্যার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই উত্তেজনা তৈরি হয় আসামের উদালগুড়িতে।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালেও হাঁটতে বেরিয়েছিলেন আসামের ১ নম্বর কলাইগাঁওয়ের বাসিন্দা ওই শিক্ষিকা।কিন্তু বেলা গড়িয়ে এলেও বাড়ি ফিরে আসেননি তিনি।

সকালে হাঁটতে বেরিয়ে কারও বাড়ি যাওয়ার কথা নয়। বিশেষ করে করোনার কারণে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তিনি কোথাও যান না। তাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। রাস্তাঘাটে বিপদের আশঙ্কা করছিলেন।

শেষে রাতে থানায় গিয়ে তাঁরা একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু, থানায় ডায়েরি করার পর আরেক দিন সন্ধ্যা গড়ালেও পুলিশ ওই শিক্ষিকার খোঁজ দিতে ব্যর্থ হয়। মঙ্গলবার রাতে উদালগুড়ির ইউএন ব্রহ্ম অ্যাকাডেমি স্কুল চত্বর থেকে দুর্গন্ধ বেড়োতে থাকলে আশপাশের লোকজন সেখানে ভিড় করেন। খবর দেওয়া হয় থানায়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই স্কুলের একটি ঘর থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। শনাক্ত হয় মরদেহটি নিখোঁজ ওই শিক্ষিকার। শিক্ষিকার বাড়ি থেকে ওই স্কুলের দূরত্ব বেশি নয়। আবার ওই স্কুল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কলাইগাঁও ১ নম্বর সেনা শিবির।

সেনা শিবিরের কাছে এমন জনবহুল এলাকায় স্কুলের মধ্যে কী করে একজন শিক্ষিকাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তদন্তকারীরা জানান, ইউএন ব্রহ্ম অ্যাকাডেমি স্কুলের একটি ঘর থেকে শিক্ষিকার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, মৃতদেহ যাতে শনাক্ত না করা যায়, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে অ্যাসিড ঢেলে মুখ পোড়ানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের মনে হয়েছে, খুন করার আগে ওই শিক্ষিকাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল।

Author

এই খবরটা তাঁর সঙ্গে শেয়ার করুন, যার এটা জানা দরকার

Make your comment