বাস্তুশাস্ত্রে এমন অনেক সহজ ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে, যা অবলম্বন করে একজন মানুষ তার জীবনকে সুখী করতে পারে। যদি আপনার বাড়িতে বাস্তু ত্রুটি থাকে এবং আপনি প্রতিনিয়ত অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন, তবে এর জন্য আপনি কিছু বাস্তু টিপস অবলম্বন করে ঘরে ধন বৃদ্ধি করতে পারেন।
প্রতিটি মানুষ তার জীবনে উন্নতির জন্য অনেক চেষ্টা করে। এর জন্য মানুষ বাস্তুর প্রতিকারও অবলম্বন করে, যার ফলে তার জীবনের সমস্যা অনেকাংশে কমে যেতে পারে। একজন ব্যক্তির জীবনে ঝামেলার ঘটনা তার রাশিফলের উপস্থিত গ্রহগুলির অবস্থানের উপর নির্ভর করে। যদি কোন উচ্চ গ্রহ দুর্বল ঘরে বসে থাকে, তবে মানুষ যতই পরিশ্রম করুক না কেন, তার পরিশ্রমের ফল সে পায় না। ইন্দোরে বসবাসকারী জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শক পন্ডিত কৃষ্ণ কান্ত শর্মা আমাদের কিছু ছোট প্রতিকারের কথা বলছেন।
প্রথম ধাপ
দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে রূপান্তর করতে, সকালে গোসল করার সময় গোসলের জলে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে গোসল করুন। এই প্রতিকারের মাধ্যমে আপনার রাশিতে উপস্থিত বৃহস্পতি গ্রহ শক্তিশালী হয়। এছাড়াও ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় এবং শীঘ্রই আপনার ভাগ্যও বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে সন্ধ্যায় গোসল করার সময় পানিতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খেলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।দ্বিতীয় সমাধান
বিশ্বাস অনুসারে, হনুমান জি, যাকে কলিযুগের দেবতা বলা হয়, তিনি তাঁর ভক্তদের প্রতিটি সমস্যা থেকে রক্ষা করেন, তাই পঞ্চমুখী হনুমানের নিয়মিত পূজা করা উচিত। মঙ্গলবার পঞ্চমুখী হনুমানের সামনে প্রদীপ জ্বালালে ঘরে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়। কেউ কষ্ট থেকে মুক্তি পায় এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে।
তৃতীয় প্রতিকার
যদি আপনার বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি বসতি স্থাপন করে, তবে নিয়মিত সন্ধ্যায় তুলসীর কাছে একটি প্রদীপ জ্বালান। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ঘরে কর্পূর জ্বালিয়ে রাখলে ঘরের পরিবেশ পবিত্র থাকে এবং ইতিবাচকতা বজায় থাকে।চতুর্থ উপায়
বিশ্বাস অনুসারে, নিয়মিত পুজো করার সময় শঙ্খ ও ঘণ্টা ফুঁক করলে ব্যক্তির ঘরে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চালন বাড়ে, সেই সঙ্গে নেতিবাচকতাও দূর হয়। এ ছাড়া ঘরে বন্ধ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, জঞ্জাল, বন্ধ ঘড়ি, মরিচা পড়া তালা, ভাঙা বাসনপত্র, ছেঁড়া কাপড়ের মতো জিনিস থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে ফেলুন। মা লক্ষ্মী এমন জায়গায় থাকেন না।