যেভাবে খাবেন বাদাম: শুকনো ফল খাওয়ার দারুণ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু বাদাম খাওয়ার সঠিক উপায় অনেকেই জানেন না। এ কারণে অর্ধশতাধিক মানুষ পেটে ময়লা জড়ো করছে। চলুন জেনে নিই বাদাম খাওয়ার সবচেয়ে সঠিক ও সহজ উপায়।
বাদামের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: বাদামের চেয়ে বেশি মানুষ বাদামকে শুকনো ফল হিসেবে চেনেন। এর গাছ মাঝারি আকারের, গোলাপি ও সাদা ফুলের মতো। বাদাম খাওয়াকে মস্তিষ্কের জন্য একটি ওষুধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পাহাড়ি এলাকায় এ গাছ বেশি পাওয়া যায়। যদি দেখা যায়, এশিয়ার ইরান, ইরাক, মক্কা, শিরাজ প্রভৃতি স্থানে বাদাম গাছ বেশি পাওয়া যায়। যদি এটি সঠিকভাবে খাওয়া হয়, তাহলে আপনার মস্তিষ্কের নিউরনগুলিকে সক্রিয় করা সহজ হয়ে যায়। আপনি যদি বাদাম সেবন করতেও জানেন না। আসুন জেনে নেই সঠিকভাবে বাদাম খাওয়ার সম্পূর্ণ তথ্য।
এসব কারণে খোসাসহ বাদাম খাবেন না
বাদামে ট্যানিন লবণের যৌগ থাকে। এটি খেলে শরীর বাদামের পরিপূর্ণ পুষ্টি পায় না। তাই খোসা সহ বাদাম খাওয়া উচিত নয়।
তাড়াহুড়ার কারণে প্রায়ই অনেকে শুকনো বাদাম খাওয়া শুরু করে। এতে করে শরীরে পিঠার ভারসাম্যহীনতা বাড়তে থাকে। যার কারণে আপনি রোগের শিকার হতে পারেন। তাই খোসাসহ বাদাম খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
খোসা সহ বাদাম খেলে এর কিছু কণা আপনার অন্ত্রে আটকে যায়। এর কারণে পেটে ব্যথা, জ্বালাপোড়া, গ্যাস তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বাদাম খোসা ছাড়িয়ে খান।
কিভাবে বাদাম খাওয়া যায়?
বাড়িতে খাবার তৈরিতেও বাদাম ব্যবহার করা হয়। কিন্তু যারা প্রতিদিন বাদাম খান তাদের জন্য এভাবে বাদাম খাওয়া উপকারী হতে পারে। সারারাত জলে বাদাম ভিজিয়ে রাখুন।সকালে খোসা ছাড়িয়ে সেবন করুন। এতে বাদামের তাপ কমে যায়।
সকালে বাদাম পিষে দুধে মিশিয়ে খেতে পারেন।
এছাড়াও, আপনি এটি ভাজা এবং সন্ধ্যায় স্ন্যাক হিসাবে খেতে পারেন। ডায়েটিশিয়ানরা দিনে 5-8টি বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।