কর্পূরের উপকারিতা: ৫ টাকার কর্পূর বদলে দেবে জীবন! এর অলৌকিক উপকারিতা খুব কম মানুষই জানেন

কর্পূরের উপকারিতাঃ কর্পূর এমন একটি উপকারী জিনিস, যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। এর অনেক উপকারিতা আছে যা জানলে অবাক হবেন। এটি এমন একটি আইটেম যা শুধু পূজাতেই নয়, আপনার দৈনন্দিন জীবনেও ব্যবহার করা যায়, যার উপকারিতা অনেকেই জানেন না।

কর্পূর কীভাবে ব্যবহার করবেন: হিন্দু ধর্মে কর্পূরকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এর নিয়মিত ব্যবহার আপনার অনেক সমস্যা দূর করার ক্ষমতা রাখে। কর্পূর আপনার বাড়িতে সুখ এবং সমৃদ্ধি আনতে পারে। এমনকি এটি বলা হয় যে এটি একটি মাস্টার কী যা আপনার দৈনন্দিন রুটিনে ব্যবহার করা যেতে পারে, যার সাহায্যে আপনি আপনার জীবনের প্রতিটি ঝামেলার তালা খুলতে পারেন। আপনার ভাগ্য উজ্জ্বল করার পাশাপাশি আপনি কর্পূর থেকে আরও অনেক নাম পেতে পারেন। এর সাহায্যে, আপনার জীবনযাত্রা সম্পর্কিত সমস্যাগুলিও কাটিয়ে উঠতে পারে। অর্থাৎ বাজারে পাঁচ টাকায় পাওয়া এই কর্পূরের এত উপকারিতা, যার কথা খুব কম মানুষই জানেন।

কর্পূরের একটি উপকারিতা অনেক

কর্পূর এমন একটি রাসায়নিক, যা একটি বিশেষ উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। এটি পাতন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। কর্পূর সাধারণত তিন প্রকার, প্রথম জাপানি, দ্বিতীয় ভীমসেনি এবং তৃতীয় পাত্রী কাপুর। কর্পূর পূজা, ঔষধ এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়। এটি নেতিবাচক শক্তিকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্যও একটি দুর্দান্ত জিনিস হিসাবে বিবেচিত হয়। কর্পূরের সুবাস মনকে ঘনীভূত করে। একই সাথে এর আগুন কফ ও বাতকে ধ্বংস করে।

ওষুধ হিসেবে কীভাবে ব্যবহার করবেন?

কর্পূর তেল ত্বকে রক্ত ​​চলাচল সহজ করে। এটি প্রদাহ, ব্রণ এবং তৈলাক্ত ত্বকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কর্পূর মিশ্রিত মলম ব্যবহার করা হয়। ঘাড়ে ব্যথা হলে কর্পূর যুক্ত মলম লাগালে আরাম পাওয়া যায়। কর্পূর তেল মালিশ করলে কফের কারণে বুকের চাপে আরাম পাওয়া যায়।

উপকার গুনতে গুনতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন!

ত্বকের সংক্রমণের জন্য যেমন চুলকানি এবং ত্বকে জ্বালাপোড়া, এক কাপ নারকেল তেলে এক চা চামচ গ্রাউন্ড কর্পূর মিশিয়ে লাগান। অন্যদিকে, ছেঁড়া গোড়ালির সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হলো কর্পূর। গরম জলে কর্পূর মিশিয়ে সেই জলে পা দিয়ে বসুন। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এটি করুন, ফাটলগুলি পূরণ হতে শুরু করবে।

সর্দি-কাশি হলে গরম পানিতে কর্পূর মিশিয়ে ভাপ খেলে খুব উপশম হয়। কাশি হলে সরিষা বা তিলের তেলে কর্পূর মিশিয়ে পিঠে ও বুকে হালকা হাতে ম্যাসাজ করলে খুব উপশম হয়। মাথা ব্যাথা হলে শুঁথি, অর্জুন ছাল এবং সাদা চন্দন কর্পূরের সাথে পিষে পেস্ট তৈরি করুন। মনে রাখবেন এই সব জিনিসের পরিমাণ যেন সমান হয়। এই পেস্টটি কপালে লাগালে মাথা ব্যথায় দারুণ উপশম হয়।

কর্পূর চুলের জন্যও উপকারী। ক্রমবর্ধমান দূষণ ও খারাপ পানি ব্যবহারের কারণে মানুষের চুল পড়ার সমস্যা বাড়ছে। এ ছাড়া খুশকির সমস্যায় ভুগলে নারকেল তেলে কর্পূর মিশিয়ে চুলে লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

এভাবে বাড়িতে কর্পূর ব্যবহার করুন

জামাকাপড় রাখতে, আপনাকে অবশ্যই তাদের মধ্যে ন্যাপথলিন বল লাগাতে হবে। এর পরিবর্তে কর্পূরও ব্যবহার করতে পারেন। এতে জামাকাপড় সতেজ থাকবে এবং পোকামাকড়ও পড়বে না। কর্পূর পিষে নিন, তারপর সেই পাউডারে দুই চামচ ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ছিটিয়ে দিন, তাহলে ঘর সুগন্ধি থাকবে। এটি একটি দুর্দান্ত রুম ফ্রেশনার হিসাবে কাজ করবে। অর্থাৎ আপনার ঘরকে দুর্গন্ধময় করার পাশাপাশি কর্পূর তার নেতিবাচক শক্তিকেও তাড়িয়ে দেবে।