লড়াই ২৪ ডেস্ক: শোরগোল বিজেপির অন্দরে। জল্পনাকে প্রশ্রয় দিয়ে নিজের দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন সৌমিত্র খাঁ। মোদীর মন্ত্রিসভার রদবদলের দিনই এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে সৃষ্টি করলো এক নয়া জল্পনার। আজ দুপুর ২.৩০ নাগাদ ফেসবুকে একটি পোস্ট করে বিষ্ণুপুরের এই সাংসদ। সেই পোস্টে তিনি জানান, ‘আজ থেকে আমি আমার ব্যাক্তিগত কারণে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে অব্যাহিত নিলাম। বিজেপিতে ছিলাম, বিজেপিতে আছি, আগামী দিনেও বিজেপিতে থাকবো।’
আরও পড়ুন…আজই হতে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল, বাংলা থেকে সুভাষ, শান্তনু সহ-মোট ৪ জন
আর কয়েক ঘন্টা বাদ শুরু হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ। আর তার ঠিক আগেই এই রকম একটি পোস্ট এক বিশাল জল্পনাকে উস্কে দিচ্ছে। কিছুক্ষন আগেই তিনি ফেসবুক পোস্টে দুই সতীর্থকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেন বলে শুভেচ্ছা জানান। এরপর তার এক ঘণ্টার মধ্যেই এই পোস্ট।
এই পরিপ্রেক্ষিতে উঠে আসছে একটি প্রশ্ন, তাহলে কী মন্ত্রিসভায় স্থান না পেয়ে এই সিধান্ত নিলেন সৌমিত্র খাঁ?
সংবাদমাধ্যমকে এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “যুব মোর্চার পদ অনেক আগেই ছাড়তে চেয়েছিলাম। অনেক তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগে দলীয় সংগঠনকে জানিয়েছিলাম। রাজ্য বিজেপি যেভাবে চলছে সেই ভাবে চললে মুশকিল হয়ে যাবে। বিজেপির সঙ্গে থাকবো। তবে এককেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, “দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হচ্ছে। এখন রাজনীতি হয় পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে।”
উল্লেখ্য, এই দুই জেলার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে দাপট শুভেন্দু অধিকারীর। আর পশ্চিম মেদিনীপুরে দাপট দিলীপ ঘোষের।
তাহলে কী দিলীপ-শুভেন্দুর সঙ্গে মতানৈক্যই তার এই সিধান্তকে মদত জাগিয়েছে?
এর আগে তিনি বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন। যা নিয়েও বেশ জল্পনা তৈরি হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, “অনেক মিডিয়া গ্রুপ হওয়ায় একটা থেকে বেরিয়ে এসেছি। এর সঙ্গে বিজেপি ছাড়ার কোনো ব্যাপার নেই।”