কলকাতা: হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেলেন মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগী। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়িতে। আচমকাই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে নিখোঁজ হয়ে যান এক মহিলা। চিকিৎসকদের দাবি, উনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত।
বৃহস্পতিবার রাতে মিউকোরমাইকসিসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর ওই মহিলা বাইরে থেকে আসছি বলে ENT অর্ন্তবিভাগ থেকে বের হন। এরপর আর ফিরে আসেননি তিনি। কিছুক্ষণ পর সেখানকার কর্মীদের নজরে আসে বিষয়টি। আশ্চর্যের ঘটনা নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে পালিয়ে গেলেন ওই মহিলা, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অনেক। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই মহিলা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। কিছুদিন আগে এসে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত এই নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে সন্দেহ ছিল প্রথম থেকেই। এরপর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে সেই নমুনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
আরও পড়ুন….মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করতে অধ্যক্ষকে ৬৪ পাতার চিঠি পাঠালো বিজেপি
ENT অর্ন্তবিভাগের কর্মীদের দাবি, উনি প্রথম থেকেই হাসপাতালে ভর্তি থাকতে চাইছিলেন না। তিনি ভর্তির সময় একটি ফোন নম্বর দেন, সেই নম্বরে ফোন করলে ফোনের প্রান্ত থেকে যার উত্তর আসে সম্পর্কে তিনি ওই মহিলার ছেলে হন। তিনি জানান, তার মা বেশ কিছুদিন ধরেই নিখোঁজ। ফলে কীভাবে মহিলা মুর্শিদাবাদ থেকে শিলিগুড়ি আসেন এই নিয়ে একটি রহস্য আছে।
মহিলাকে প্রথমে মেডিক্যালে বহির্ভাগে ভর্তি করা হয়। ইনফেকশন দেখা গেলে তাঁকে নিয়ে আসা হয় ENT অর্ন্তবিভাগে। কিন্তু যে ওয়ার্ডের বাইরে সব সময় নিরপত্তা মোতায়েন করা থাকে সেখানে একজন রোগী কীভাবে পালিয়ে যেতে পারে? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ঢের! ENT বিভাগের প্রধান ডাঃ রাধেশ্যাম মাহাতো জানান, মহিলার ডায়াবেটিস ছিল। ওই মহিলার পালিয়ে যাওয়াতে অন্য রোগীদের বিশেষ কোনো ক্ষতি হবে না কিন্তু ওই মহিলার চিকিৎসা না হলে পরবর্তীতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। ওই মহিলার অস্ত্র পাচারের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানা চিকিৎসক। পুলিশ তদন্তে নেমে পড়েছে। তাঁদের সাহায্যে দ্রুত তাঁকে খুঁজে বের করা যাবে।