লড়াই ২৪ ডেস্ক: অবশেষে গণেশ চতুর্থীর দিন ঘোষণা হল ভবানিপুরে বিজেপি প্রার্থীর নাম। এদিন মনোনয়ন পত্র জমা দিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে তাঁর বিরুদ্ধে আজ উঠে দাঁড়ালেন বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। শুধু ভবানিপুর নয়, বিজেপি তরফে ঘোষণা হল সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের প্রার্থীর নামও। সামশেরগঞ্জে BJP-র প্রার্থী মিলন ঘোষ এবং জঙ্গিপুরে BJP-র প্রার্থী সুজিত দাস।
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানিপুরে উপনির্বাচন। শুক্রবারই আলিপুরে মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে, মমতা বিরুদ্ধে ভবানিপুরে BJP প্রার্থী কে হবে?- এই নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। গেরুয়া শিবিরের অন্দরে গুঞ্জন ছিল, কলকাতা পুরসভা ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তিস্তা দে বিশ্বাস ও রুদ্রনীল ঘোষের মধ্যে যে কোনো একজনকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া হতে পারে। অবশেষে ভবানিপুর উপনির্বাচনে মহিলা মুখকেই প্রাধান্য দিয়ে নাম উঠে এলো প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের।
কে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল?
২০১৪ সালে বাবুল সুপ্রিয়র আইনি পরামর্শ দাতা ছিলেন তিনি। এরপর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর বয়ানানুসারে, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর BJP-যুব মোর্চার গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বে ছিলেন এই নেত্রী। এরপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির টিকিটে এন্টালি থেকে দাঁড়ান। কিন্তু, সেখানে প্রায় ৫৮ হাজার ভোটে তৃণমূল প্রার্থী স্বর্ণকমল সাহার কাছে পরাজিত হন পেশায় আইনজীবী নেত্রী।
Read more………..“পঞ্জশিরের পতন হয়নি; পালাননি মাসুদ, লড়াই জারি” ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের বিদেশ সম্পর্ক বিভাগের প্রধান আলি নাজারি
তবে ভবানিপুর কেন্দ্র থেকে লড়ার বিষয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘দল ইতিমধ্যে ভবানিপুরে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে আমার থেকে মতামত জানতে চেয়েছে। অনেক নাম নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।’ একই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, ‘আমাকে যদি ভবানিপুরে প্রার্থী করে সেক্ষেত্রে আমি লড়বো। এটা ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াই। আশা করি মানুষ আমাকে সমর্থন করবে। ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে এটা আমাদের লড়াই ক্ষেত্র।’
রাজনৈতিক মহলে আরও জল্পনা, ভবানিপুর কেন্দ্রে অবাঙালি ভোট সংখ্যা বেশি হওয়ায়, বিজেপি প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে সেখানে প্রার্থী হিসেবে নামিয়েছে।