মজবুত হাড়ের জন্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের হাড়গুলো ক্ষয়-ক্ষতির প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। এ কারণে তাদের চলাফেরা ও স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদিও এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া এবং এটি পুরোপুরি বন্ধ করা যায় না। তবুও সঠিক যত্ন আমাদের হাড় এবং পেশীগুলির এই ক্ষতি কমাতে এবং ধীর করতে পারে। ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় এবং পেশীগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি, তাই এটি শরীরে ঘাটতি হতে দেবেন না। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই ৫টি জিনিস যা এখন থেকেই খাওয়া শুরু করা উচিত যাতে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের দুর্বলতা না থাকে।
বাদাম অনেক পুষ্টিতে সমৃদ্ধ, বিশেষ করে বাদাম প্রোটিনের পাশাপাশি ক্যালসিয়ামের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা উভয়ই আমাদের হাড়, পেশী এবং জয়েন্টগুলিকে শক্তিশালী করে। বাদাম বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে যেমন বাদাম দুধ, বাদাম মাখন, ভেজানো বাদাম ইত্যাদি।
আমরা সবাই জানি যে সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের অবশ্যই সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে কারণ এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, বিশেষ করে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়। এ জন্য পালং শাক, ব্রকলি, বাঁধাকপি ইত্যাদি খেতে পারেন।
দুধ বা তা থেকে তৈরি পণ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, যা হাড়ের মজবুতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দুধের পাশাপাশি দই ও পনিরও খেতে হবে। ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় আর দুর্বল হবে না।
স্যামন এবং টুনার মতো চর্বিযুক্ত মাছে অনেক ধরণের পুষ্টি পাওয়া যায়, পাশাপাশি এটি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর একটি সমৃদ্ধ উত্স। এটি হাড়ের শক্তি এবং গতিশীলতা উন্নত করে। এই ধরনের মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে।
আপনি যদি ভেগান ডায়েট অনুসরণ করেন, তবে সয়া বা এটি থেকে তৈরি পণ্যগুলি আপনার জন্য ক্যালসিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উত্স। এর জন্য আপনি সয়াবিন, সয়া মিল্ক এবং টফু জাতীয় জিনিস খেতে পারেন। ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে, যা হাড়ের মজবুতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।