চাণক্য নীতি টিপস: ভারতের ইতিহাস সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, আচার্য চাণক্যকে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ভারতীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আচার্য চাণক্য কৌটিল্য ও বিষ্ণু গুপ্ত নামেও পরিচিত। আচার্য চাণক্যকে মৌর্য সাম্রাজ্যের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উপদেষ্টা এবং মন্ত্রী চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য বলে মনে করা হয়।
চাণক্য তার শাস্ত্রীয় গ্রন্থের মাধ্যমে জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নীতিকে খুব ভালোভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। আজও মানুষ চাণক্যের নীতি অনুসরণ করে সাফল্য অর্জন করছে। তাঁর প্রতিটি খুতবার নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে।
এই শিক্ষার মধ্যে আজ আমরা যা আলোচনা করব তা হল এমন ব্যক্তির অভ্যাস থেকে কীভাবে জানবেন যে তিনি নরকের কষ্ট ভোগ করে পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছেন। আসুন আচার্য চাণক্য নীতিতে এমন ব্যক্তির বদ অভ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
আচার্য চাণক্য দ্বারা গুণ ও অপূর্ণতা চিহ্নিত করুন
আচার্য চাণক্যের নীতিতে একজন ব্যক্তির গুণ ও অপূর্ণতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। আসলে, চাণক্যের মতে, নরক ভোগ করে পৃথিবীতে বহু মানুষ জন্মগ্রহণ করেন।
এভাবেই একজন গুণী ব্যক্তিকে চিনতে হয়
আচার্য চাণক্যের নীতিশাস্ত্র অনুসারে, সপ্তম অধ্যায়ের 16 তম শ্লোকে বলা হয়েছে যে ব্যক্তি স্বর্গের সুখ ভোগ করে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে এই গুণগুলি দ্বারা চিহ্নিত করা যায়।
স্বর্গ থেকে জন্ম নেওয়া মানুষের গুণাবলী
আচার্য চাণক্যের মতে, যারা স্বর্গের সুখ ভোগ করে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন, তাদের কথাবার্তা খুবই মধুর হয়। এই ধরনের লোকেরা দান করাকে তাদের ধর্ম মনে করে। এ ধরনের মানুষ আল্লাহর ইবাদত করে। এছাড়া এই লোকেরা ব্রাহ্মণদের দান করাতেও বিশ্বাসী।
এভাবেই খারাপ লোককে চিনতে হয়
অন্যদিকে, নরকের যন্ত্রণা ভোগ করে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণকারী মানুষ তাদের দোষ দিয়ে চিহ্নিত করা যায়। তাদের কথাবার্তা যেমন তিক্ত হবে, এই ধরনের লোকেরা নিচু মানুষের সংগে থাকতে পছন্দ করে, তারা শুধু গরীবই নয়, পরিবার-পরিজন বা বন্ধু-বান্ধবদের সাথেও ভালো মিশতে পারে না। এই ধরনের মানুষ জীবনে সবসময় অসুখী থাকে।