লড়াই ২৪ ডেস্ক: চিটফান্ডের কবলে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। মানসিক চাপে আত্মহত্যাও করেছেন অনেকে। এবার ফের এই চিটফান্ডের কবলে পড়ার আগেই মানুষজনকে সতর্কবার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। টাকা রাখার জন্য ব্যাঙ্ককেই ব্যবহার করতে বলেছেন তিনি। অল বেঙ্গল চিটফান্ড সাফারার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রূপম চৌধুরীর দাবি, “এখন গ্রাম বাংলায় নানা বেআইনি পদ্ধতিতে টাকা তুলে চলছে প্রতারণা। যদি মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কাছে জানতে চান তাহলে আমরা তথ্যপ্রমাণ দিতে পারি।”
বুধবার নবান্নে চিটফান্ডের নামে সতর্কবানী শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, “আজও গ্রামে-গঞ্জে চিটফান্ডের নামে টাকা তোলা হচ্ছে। কেন তাদের টাকা দিচ্ছেন? বার বার বলছি টাকা দেবেন না। রাষ্ট্রায়ত ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা রাখুন। কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে যান। কেন চিটফান্ডে টাকা রাখবেন?”
আরও পড়ুন….গত ২৪ ঘণ্টায় ফের বেড়েছে সংক্রমণ, পালা দিয়ে বাড়ল মৃত্যুও
ভুয়ো ভ্যাকসিন ও ভুয়ো আইএএস প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি নিজে থেকেই এই চিটফান্ডের কথা তোলেন। তিনি বলে, “চিটফান্ডের নামে আজও অনেক লোক করে খাচ্ছে। তারা খাবে, লুটপাট করবে এছাড়াও কয়েকটা ছবি তুলে প্রভাব খাটাবে গোটা জগতে। আমি পুলিশকে বলবো। এমন ধরণের গজিয়ে ওঠা কোনো সংস্থা বা মাতব্বরকে যেন খতিয়ে দেখে পুলিশ। এটা গুরুত্বর অন্যায়।”
মুখ্যমন্ত্রীর কোথায় সহমত জানিয়েছেন অল বেঙ্গল চিটফান্ড সাফারার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রূপম চৌধুরী। এই সংস্থা প্রতারিতদের স্বার্থে আন্দোলন করে আসছে বহু কাল ধরে। সভাপতি রূপম চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘বিভিন্ন এনজিও-এর মাধ্যমে নানা কায়দায় টাকা তোলা হচ্ছে। চিটফান্ডের কর্তাদের একাংশ নানা ছলনায় শেয়ার-ডিবেঞ্চার বিক্রি করছে। মারশুম চাষের ট্রেনিং, তাতেও টাকা উঠছে। চিটফান্ড নামের পরিবর্তন করেই চলছে টাকার লুটপাট। এক-দুবছর চুপ করার পর নানা উপায়ে টাকা তোলা চলছে। আমাদের ডাকলে আমরা সঠিক তথ্যপ্রমাণ দেব।’
এছাড়াও তিনি আরও জানিয়েছেন, নিউব্যারাকপুরের একটি সোসাইটি দুবছর আগে কোটি টাকা তুলে কেটে পড়েছে। ২০১৪ সাল থেকে বিকল্প পথে টাকা তোলা হচ্ছে। একসময় রাজ্যে কমবেশি ৩৫৫-৩৫৬ চিটফান্ড ছিল। এদিকে চিটফান্ডে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ৫০০ কোটির ফান্ড নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এখন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন, রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুন্ডু সহ বিভিন্ন চিটফান্ড সংস্থার মাতব্বররা জেল হেফাজতে আছেন। তবু যেন থামেনি বেআইনি পথে টাকা তোলা।