করোনা মহামারীর যুগে দাঁড়িয়ে মানুষ প্রতিদিনই নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। কারোর কাজ নেই বা কাজ কাজ থাকলেও সেই কাজের টাকা দিয়ে পেট চালানো রীতিমতো দায় হয়ে পড়ছে। গ্রাম-বাংলায় এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার চেয়েও পেটের জ্বালা নেভানোর দায় অনেক বেশি।
আর তাঁর টানেই ক্লাস সেভেনের ছাত্র এখন হয়েছে মিষ্টি বিক্রেতা। নাম সুমন ঘোষ। বাড়ি বর্ধমানের মেমোরিতে। নিতান্তই গরিব পরিবারের ছেলে সুমন। টাকার অভাবে স্কুলেও ভর্তি হতে পারছিল না সে। তখন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাই এগিয়ে এসেছিল মেধাবী সুমনের স্কুলে ভর্তির দায়িত্ব নিতে।
কিন্তু সুমনের বাবা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস এ ভুগছে। আর তাই ধীরে ধীরে একাধিক রোগ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। বর্তমানে কাজ করার মতো অবস্থায় তিনি নেই। সুমনের পরিবারে আছে বলতে তাঁর মা, বাবা, বোন এব গ সে। মা-বাবার ইচ্ছে ছেলে পড়াশুনা শিখে একটা ভালো জায়গায় যাক এবং মানুষের মতো মানুষ হোক।
তবে, দারিদ্রতা সেসবের ধার ধারেনা। আর তাই এখন সুমনকেই কাজে নামতে হয়েছে সংসার চালানো। যে বয়সে ছোটাছুটি করে খেলাধূলা করার বয়স ঠিক সেই বয়সে সুমন ভোর বেলা উঠে পাড়ায় পাড়ায় মিষ্টি বিক্রি করেন। আর সেই দিয়েই সংসার চালায় সঙ্গে চালায় নিয়ে পড়াশোনার খরচ।