ইসলামাবাদ – পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে শুরু হওয়া রাস্তা কারাকোরাম পেরিয়ে ঢুকেছে পাকিস্তানে। ১৩০০ কিলোমিটার গিয়ে রাস্তা শেষ হয়েছে বালুচিস্তান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের গ্বাদের বন্দরে। দীর্ঘ এই রাস্তার নাম চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি প্রকল্প। এটি চিনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ নীতির অন্তর্গত ।
এটিকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের শীর্ষ আমলারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি অডিট রিপোর্ট পেশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে। ২৭৮ পাতার ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই প্রকল্প তৈরির সময় থেকে দফায় দফায় পাকিস্তানের সেনাকর্তাদের বিপুল পরিমাণ ঘুষ দিয়েছে ‘বন্ধু’ চিন সরকার। পাকিস্তানের শীর্ষ সেনা জেনারেল ও কমান্ডাররা মোট ৬২ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার ঘুষ নিয়েছেন। এই টাকায় তাঁরা নামে বেনামে আমেরিকা ও ইউরোপে বিপুল সম্পত্তি কিনেছেন। সবচেয়ে বেশি ঘুষ খেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম সেলিম বাজওয়া। কারণ তিনিই হলেন সিপেক প্রকল্পের প্রধান কর্তা। প্রায় ছয় হাজার কোটি ডলারের এই প্রকল্পে পাক সেনাকর্তা ও পাকিস্তানের বহু আমলা বিপুল ঘুষ নিয়েছেন বলে অডিট রিপোর্টে ধরা পড়েছে। এই খবর সরকারের কাছে নেই বলে জানানো হয়েছে ওই অডিট রিপোর্টে।
প্রকল্প থেকে বিপুল লাভ করতে চলেছে চিন। লাভের অঙ্ক নিয়ে পাকিস্তানকে বোকা বানানো হচ্ছে বলে আভিযোগ।