নয়াদিল্লিঃ ফের করোনার রেকর্ড দেশে। আবারও লক্ষের গন্ডি টপকালো আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে সোমবার প্রথম আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছিল ১ লক্ষের গণ্ডি। মঙ্গলবার তা একটু কমেছিল। কিন্তু আজ বুধবার তা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৭৩৬ যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। যার জেরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা।
করোনার এই ঊর্ধ্বমুখী দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যাকে গত কয়েকদিনে বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৫৫ হাজার ২৫০। যা ধরে দেখে এখনও পর্যন্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৭৩ জন। অন্যদিকে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে দৈনিক মৃত্যুর হারও বাড়েছে।যা অত্যন্ত চিন্তার কারণ বিষয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় প্রান হারিয়েছেন ৬৩০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ১৭৭ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস।
করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে দিনে দিনে আরও খারাপের পথে এগোচ্ছে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৬৯ জন। পাশাপাশি খারাপ হচ্ছে মুম্বইয়ের অবস্থা। দৈনিক মৃত্যুর হারও বাড়ছে মহারাষ্ট্রে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২৯৭ জনের। দেশের মোট সক্রিয় রোগীর প্রায় অর্ধেক শুধু মহারাষ্ট্রেই।
করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের এই সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্য লকডাউন ফিরিয়ে আনছে। যেমন দিল্লিতে জারি হয়েছে রাত্রিকালীন কার্ফু। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত চলবে এই কার্ফু।অন্যদিকে মহারাষ্ট্রেও রাত্রিকালীন কার্ফু জারি হয়েছে। রাত্রিকালীন কার্ফুর পাশাপাশি সপ্তাহান্তে হচ্ছে পূর্ণ লকডাউন। ছত্তীসগঢ়ের কয়েকটি জেলাতেও জারি হয়েছে লকডাউন।
অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব স্পষ্ট। পাশাপাশি টিকাকরণও চলছে জোর কদমে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫৪৮ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা টিকার মোট ডোজ দেওয়া হয়েছে ৮ কোটি ৭০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪৭৪।