মানবিক মমতা, ভিন রাজ্য থেকে গঙ্গায় দেহ ভেসে এলেও হবে বিধি মেনে সৎকার
কলকাতা: সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের নদীতে করোনা আক্রান্তের দেহ গঙ্গার জলে ভাসতে দেখা গিয়েছিল। সেখানকার গঙ্গায় ফেলে দেওয়া করোনা আক্রান্ত দেহ নদীপথে ভেসে আসছে, এমন সতর্কতার পরেই পশ্চিমবঙ্গের মালদহে দেহ উদ্ধারের সবরকম ব্যবস্থা করে রেখেছে প্রশাসন।
সেইসঙ্গে জেলাতে শুরু হয়েছে গঙ্গা নদীতে বিশেষ নজরদারি।নৌকো এবং স্পিডবোটের সাহায্যে গঙ্গায় নজর রাখছে পুলিশের বিশেষ দল। একইসঙ্গে গঙ্গায় জেলে মাঝিদেরও সতর্ক করা হয়েছে।
তবে, বর্ষার মরশুম এখনো দেরি থাকায় এই মুহূর্তে গঙ্গায় জলস্তর বেশ কম। একইসঙ্গে গঙ্গার জলের স্রোতও বেশি নয়। ফলে দীর্ঘ কয়েক শো কিলোমিটার নদী পথ পেরিয়ে কখন বা কবে ওই দেহগুলি মালদহে এসে পৌঁছাবে বা আদৌ মালদহে আসবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছেন খোদ নদীপাড়ের বাসিন্দারাই।
গত বুধবারই রাজ্য প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হয়, মালদহ প্রশাসনকে এই সতর্কবার্তা পাওয়ার পরেই নদীতে নজরদারির পাশাপাশি দেহ উদ্ধারের বন্দোবস্ত থেকে শুরু করে কোন মৃতদেহ মিললে কোথায় কিভাবে কাজ করা হবে, তারও পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলে প্রশাসন।
এমনকি মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য পিপিই কিট, শেষ কাজের জন্য হরিজনদের দল , গদাই চর এলাকায় নির্জন জমি, থেকে মাটি খোঁড়ার জন্য শ্রমিকদের দল প্রস্তুত বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।বৃহস্পতিবার বেলার দিকে মালদহের মানিকচকের গঙ্গার ঘাট ঘুরে দেখে জেলা পুলিশের দল।
প্রশাসন মালদহে আগাম ব্যবস্থাপনায় কোনরকম ফাঁক ফোকর রাখতে চাইছে না। এদিন মালদহের জেলাশাসক এর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন জেলার মন্ত্রী রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
প্রতিমন্ত্রীর সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন,”বিহার ও উত্তরপ্রদেশে করোনা আক্রান্তদের দেহ যেভাবে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত অমর্যাদাকর। রাজ্য সরকার এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য প্রস্তুত। নদীতে মৃতদেহ ভেসে এলে মালদা সীমান্তে সেগুলিকে উদ্ধার করে যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে শেষ কাজ করা হবে।”