ক্রমেই সংক্রমণ বাড়ছে দমদম-বাঙুরে
দমদম: দক্ষিণ দমদম পুরসভার এলাকার ৩৪টি ওয়ার্ডে বিক্ষিপ্তভাবে নিয়ম ভাঙছেন অনেকেই। আর এই নাগরিকদের একাংশের জন্যই দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার পার করে গিয়েছে, এমনটাই দাবি করছেন পুর কর্তারা।
তাঁদের বক্তব্য, টানা দু’সপ্তাহ লকডাউন করেও নাগরিকদের একাংশের অসহযোগিতার কারণেই সংক্রমণের গ্রাফ নামানো সম্ভব হচ্ছে না। নাগরিকদের একাংশ অবশ্য পাল্টা পুর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, পুরসভা সকলের প্রতি সমান কঠোর নয়।
পুরসভা সূত্রে খরব, বর্তমানে আক্রান্ত ৩০০ জন। রোজই বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আক্রান্তের খবর মিলছে। তবে দমদম স্টেশন থেকে নাগেরবাজার মোড় পর্যন্ত দমদম রোড বরাবর রাস্তার দুপাশের এলাকায় সংক্রমণের হার তুলনায় কম।
এই সমস্ত এলাকায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন বা হচ্ছেন, তারা বেশিরভাগই বহুতল আবাসনের বাসিন্দা। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ‘ওই বহুতলের বেশিরভাগ বাসিন্দাই ব্যবসার সূত্রে নিয়মিত বাইরে যান।
ফলে, তাঁদের সংক্রমণের আশঙ্কা প্রবল।’ ফ্ল্যাট আলাদা হলেও তাঁরা একই লিফট ব্যবহার করেন। অনেক ফ্ল্যাটে সন্ধ্যাবেলা ছাদে বা লনে আড্ডায় বসেন। সেখান থেকেই রোগ ছড়াচ্ছে বলে দাবি ওই কর্তার।
পুরসভার বক্তব্য, নাগরিকদের স্বার্থে বেলা ১২’টার পর টানা দুসপ্তাহ লকডাউন করা হয়েছিল ঠিকই। উদেশ্য, বাজারে ভিড় কমানো। কিন্তু, এরপরেও সকালের সামাজিক দূরত্ব মানেননি অনেকেই। পাশাপাশি, এলাকায় বিনামূল্যে টেস্টের আয়োজন করলেও অনেকেই সাড়া দিচ্ছেন না।
‘তবে, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাগাতার টেস্টের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সপ্তাহে দুদিন করে সম্পূর্ণ লকডাউন করার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এক পুর কর্তা।