লড়াই ২৪ ডেস্ক: ভারত সম্ভবত এখন করোনার ‘এন্ডেমিসিটির’ পর্যায়ে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্য স্বামীনাথন। তিনি বলেন, “কয়েক মাস আগে বিপুল হারে করোনার যে সংক্রমণ দেখা যাচ্ছিল, এখন তেমনটা আর নেই।”
তিনি আরও বলেন, “প্যান্ডেমিক শেষ, এখন এন্ডেমিক পর্যায়। তবে আগামীদিনেও ভারত করোনার বৃদ্ধি-হ্রাসের বিভিন্ন পর্যায় দিয়ে যেতে পারে।”
এন্ডেমিক কী?
আরও পড়ুন………….ক্লাস ১০/১২ পাশে বনদপ্তরে নিয়োগ, কয়েকশো পদে নিয়োগ
যখন কোনো ভাইরাস একটি নির্দিষ্ট জনসংখ্যার মধ্যে সীমিত থাকে এবং সংক্রমণ মাঝারি থেকে কমের দিকে হয়, তখন তাকে এন্ডেমিক বলে। কোনো মহামারিতে এন্ডেমিক পর্যায় নিশ্চিত করে যে, জনসাধারণ ভাইরাসের সাথে চলতে শিখে গেছে বা ওয়াকিবহাল হয়ে গেছে।
এপিডেমিক-এর প্রায় বিপরীত বলা যেতে পারে এন্ডেমিককে। এপিডেমিকের সময়ে জনসংখ্যার বিপুল অংশ ভাইরাসের কবলে এসে যায়। তবে ‘এন্ডেমিক’ মানেই করোনা চলে যাচ্ছে, এমনটা কিন্তু নয়।
তবে এখনো স্বস্তির কিছুই নেই। এদিন বিজ্ঞানী আরও জানান, “ভারতের মতো একটি বিশাল দেশে, বিভিন্ন ধরণের মানুষ বসবাস করে। বিভিন্ন এলাকার মানুষের শরীরে ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতাও ভিন্ন। সুতরাং আগামীদিনেও ভারত করোনার বৃদ্ধি-হ্রাসের পর্যায় দিয়ে ফের যেতে পারে।”
বর্তমান অবস্থায় ঝুঁকি কাদের?
এই প্রশ্নের উত্তরে বিজ্ঞানী জানান, ভারতের বেশ কিছু স্থানে, বিভিন্ন ‘পকেট’ রয়েছে। এই স্থানগুলিতে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সেভাবে প্রভাব পড়েনি। এদিকে এমনই বহু স্থানে জনসাধারণের টিকাকরণের হার কম থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে এই জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তলানিতে। ফলে আগামিদিনে এইসব স্থানে করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা যেতে পারে বলে জানান ডঃ স্বামীনাথন।