নয়াদিল্লিঃ দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড গড়ছে এই ভাইরাস । করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে বেসামাল দেশে। গত ৬ দিন ধরে টানা এক লক্ষের মাইল স্টোন ছুয়ে রেখেছে দৈনিক সংক্রমণ। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯১২ জন। যা এক দিনে আক্রান্তের নিরিখে এখনও অবধি সর্বোচ্চ। সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের দৈনিক মৃত্যুও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৯০৪ জনের।যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১ লক্ষ ৭০ হাজার ১৭৯ জনের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস।
সংক্রমণের নিরিখে দেশেরমধ্যে সবথেকে ভয়াবহ অবস্থা সেই মহারাষ্ট্রের। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ২৯৪ জন। যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। একদিনে সে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৪৯ জনের। যা যথেষ্ঠ চিন্তার কারন। অন্যদিকে চিন্তা বাড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের গত ক’দিনে দৈনিক আক্রান্তের বৃদ্ধি । গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজারেরও বেশি। চিন্তা বাড়াচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার, পঞ্জাবেও । ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড এবং ওড়িশাতেও দৈনিক আক্রান্ত গত কয়েকদিনে বেশ বেড়েছে। এছাড়াও হিমাচল প্রদেশ, গোয়াতেও ৫০০-র আশপাশে রয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ কার্যকর হয়নি। সিকিমেও সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দৈনিক সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্ত দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাকে এক লাফে অনেক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৯৩ হাজার। এই বৃদ্ধির জেরে দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১২ লক্ষ ১ হাজার ৯ জন। করোনাকালে দেশে এত সংখ্যক সক্রিয় রোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ। এর আগে কখনও হয়নি।
দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ফের নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনের। মধ্যপ্রদেশে ইতিমধ্যেই সপ্তাহান্তে লকডাউন শুরু হয়েছে।পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও সপ্তাহান্তে লকডাউন এবং রাত্রিকালীন কার্ফু চলছে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও লক্ষণ নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪১৮ জন টিকা নিয়েছেন । এ নিয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ১০ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৬৫ কোভিড টিকাকরণ করা হয়েছে।