শীতের মৌসুম এখন চরমে। দেশের অনেক এলাকায় তাপমাত্রা মাইনাস এবং অনেক জায়গায় ৪-৫ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। এই প্রচণ্ড শীতে হিল ফাটা সমস্যা সাধারণ। আসলে, শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়, যার কারণে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়, বিশেষ করে পায়ের গোড়ালির ত্বক। এই ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে এতে ফাটল দেখা দেয়, যাকে সাধারণত ফাটা হিল বলা হয়।
এ ছাড়া হিল ফাটার অনেক কারণ রয়েছে। যেমন শীতকালে মানুষ কম পানি পান করে, যার কারণে শরীরে আর্দ্রতার অভাব হয় এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, শীতকালে বেশিরভাগ মানুষই ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে, যার ফলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়, শীতকালে কেউ কেউ মানুষ শক্ত হয়ে যায় বা রুক্ষ জুতা পরে, যা হিলের ত্বকে চাপ দেয় এবং ফাটল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়, আপনি যদি নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করেন তবে এটি ফাটল ইত্যাদির কারণ হতে পারে।
শীতে পায়ের ত্বকের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। আপনার হিলও যদি ফাটা থাকে, তাহলে চলুন আপনাকেও বলি ফাটা হিল মেরামতের উপায়।
ময়শ্চারাইজিং:
পা ধোয়ার পর ভালো করে ময়েশ্চারাইজার লাগান। মনে রাখবেন আপনার ময়েশ্চারাইজারে গ্লিসারিন থাকে। এটি ত্বকে আর্দ্রতা প্রদান করে এবং ফাটল প্রতিরোধ করে। ঘুমানোর আগে, কিছু তেল (যেমন নারকেল তেল বা জলপাই তেল) দিয়ে আপনার পায়ে মালিশ করুন এবং তারপরে মোজা পরুন। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখে এবং ফাটল রোধ করে।
আরামদায়ক জুতা পরুন:
শীতকালে, আরামদায়ক জুতা এবং চপ্পল পরুন যা খুব টাইট নয়, যাতে চাপ এড়ানো যায়। এ ছাড়া জুতার হিল যেন জীর্ণ না হয়ে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন
আপনার পা পরিষ্কার করুন:
প্রতিদিন পা ধুতে হবে, তবে গরম জল দিয়ে নয়, হালকা গরম জল দিয়ে। যখনই আপনি বাইরে থেকে আসেন বা জুতা পরেন, আপনার পা ধুয়ে নিন কারণ আপনার পা ঘামছে। এর পর পা ভালো করে মুছে নিন।
স্ক্রাব লাগান:
পায়ের মরা চামড়া তুলতে সপ্তাহে একবার স্ক্রাব বা পিউমিস স্টোন ব্যবহার করুন। এতে পায়ের ত্বক পরিষ্কার থাকবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন:
শীতে ঘরের তাপমাত্রাও কমতে পারে। ঘরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন, যাতে আপনার ত্বক আর্দ্র থাকে।
সঠিক খাদ্য গ্রহণ করুন:
ভিটামিন ই, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং জল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন, যাতে ত্বক ভেতর থেকে আর্দ্রতা পায়। সবুজ শাকসবজি, ডাল, প্রোটিন সমৃদ্ধ জিনিস, জটিল কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য ভালো।