গ্রীষ্মকালে, পেট সুস্থ এবং ঠান্ডা রাখতে দই খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। দই প্রোবায়োটিক এবং পুষ্টিতে ভরপুর। তবে অনেক সময় দেখা যায় দই খাওয়ার পর মানুষকে ব্রণ, ত্বকের অ্যালার্জি এবং হজমের সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়াও কেউ কেউ দই খেলে শরীরে প্রচণ্ড তাপ অনুভব করেন। এমন পরিস্থিতিতে, আজ আমরা আপনাকে দই সম্পর্কিত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি বলব এবং এটিও জানব যে আপনার প্রতিদিন দই খাওয়া উচিত কি না।
দই খেলে শরীরের তাপ বাড়ে কেন?
ছোটবেলা থেকেই আমরা সবাই জানি যে দইয়ের শীতল গুণ রয়েছে। কিন্তু আয়ুর্বেদ অনুসারে দইয়ের স্বাদ টক এবং এর প্রকৃতি গরম। এছাড়াও, এটি হজমের জন্য খুব ভারী বলে মনে করা হয়। এটি পিত্ত এবং কফ দোষে খুব বেশি এবং বাত দোষে কম। তাই দই খাওয়ার সময় কিছু বিষয়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। আপনি যদি সঠিকভাবে দই খান, তাহলে এর থেকে আপনাকে কোন প্রকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে না এবং এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হবে না।
কিভাবে দই খাবেন?
গ্রীষ্মকালে প্রতিদিন দই খাওয়ার পরিবর্তে বাটারমিল্ক খাওয়া উচিত। আপনি এটি কালো লবণ, কালো মরিচ এবং জিরা যোগ করে পান করতে পারেন। দইয়ে পানি মেশানো হলে তা দইয়ের গরম প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে। দইতে জল যোগ করলে তাপ কমে যায় এবং শীতল প্রভাব দেয়।
সেই সঙ্গে দই গরম করার পর তা না খাওয়াও জরুরি। এতে করে দইয়ের সব পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও, আপনি যদি স্থূলতা বা কাফা দোষে ভুগছেন তবে দই খাওয়া এড়িয়ে চলুন। আয়ুর্বেদ অনুসারে, ফলের সাথে মিশিয়েও দই খাওয়া উচিত নয়। এতে করে আপনাকে হজম সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
প্রতিদিন দই খাওয়ার অপকারিতা
বলা হয়ে থাকে যে আপনার পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হলে প্রতিদিন দই খাওয়া উচিত নয়। পরিপাকতন্ত্র ঠিকমতো কাজ না করলে দই খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন যে আপনি যখন প্রতিদিন এক কাপের বেশি দই খান তখন এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আপনি যদি এক কাপ দই খান তবে তা আপনার ক্ষতি করে না।
(এটি একটি সাধারণ তথ্য। আপনি যদি দই খেয়ে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে প্রথমে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।)