লড়াই ২৪ ডেস্ক: করোনা নিয়ে ফের দেশে বেড়ে চলেছে উদ্বেগ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫৪ হাজার ৬৯ জন। অপরদিকে মৃত্যু হয়েছে ১৩২১ জনের। এই সময়ে দেশে কোভিড মুক্ত হয়েছে ৬৮ হাজার ৮৮৫ জন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ২৭ হাজার ৫৭ জন।
করোনার মারণ অস্ত্র টিকাকরণ। এতদিনে দেশে মোট টিকাকরণ হয়েছে ৩০ কোটি ১৬ লাখ ২৬ হাজার ২৮ জন।
আরও পড়ুন…নিত্যযাত্রীদের লোকাল ট্রেনের দাবিতে বিক্ষোভ সোনারপুর স্টেশনে
অপরদিকে এই মারণ ভাইরাসের নয়া রূপ ছড়িয়েছে দেশে। বিশ্বের নয়টি দেশের মধ্যে ভারত অন্যতম, যেখানে করোনার এই নয়া প্রজাতি বা ডেল্টা প্লাসের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। দেশে এখনো পর্যন্ত ৪০ জন রোগী এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। কিছুদিন আগেই AIIMS-এর অধ্যক্ষ রণদ্বীপ গুলেরিয়া জানান, হয়তো আর কিছু মাসের মধ্যেই দেশে চলে আসতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। ইতিমধ্যে আবার ডেল্টা প্লাসের সংক্রমণ বৃদ্ধিও কী তাহলে সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে?
করোনার ডেল্টা প্লাসের সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তারই মধ্যে আবার করোনার এই নয়া প্রজাতির কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক রোগীর। জানা যাচ্ছে, ২৩ মে করোনা আক্রান্ত হয়ে মধ্যপ্রদেশের পতিদার হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক মহিলার। তারপর ভোপালের একটি ল্যাবে তাঁর নমুনা পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিল ওই রোগীর। ইতিমধ্যে মধ্যপ্রদেশে পাঁচ জনের শরীরে করোনার এই প্রজাতির হদিশ মিলেছে।
মহারাষ্ট্র, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশে করোনার এই প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই তিন রাজ্যকে সর্তক করা হয়েছে। তবে একটা সংশয় এখনো থেকে যাচ্ছে, করোনার টিকা মাধ্যমে কী এই ডেল্টা প্লাস প্রজাতিকে রুখে দেওয়া যাবে। এই প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনার টিকাকরণ মাধ্যমে অনেকটা আটকানো যেতে পারে এই সংক্রমণকে। এমনকি এই টিকা নেওয়া থাকলে এই প্রজাতি দ্বারা আক্রান্ত হলেও ঝুঁকি কম থাকবে অনেকটা।