ডেঙ্গু টিপস: প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। ডেঙ্গু হওয়ার পর জীবন বিপন্ন হতে পারে, তাই তার আগেই সাবধান হয়ে যান। আসুন জেনে নেই কিভাবে ডেঙ্গু চিনবেন এবং কিভাবে এড়িয়ে যাবেন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ: ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে সামান্য অসাবধানতা বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে। ছোট মশা দ্বারা ছড়ায় ডেঙ্গু সারা শরীরকে দুর্বল করে দেয়। কেউ কেউ ডেঙ্গুর শিকার হওয়া সত্ত্বেও চিকিৎসা না পেয়ে সমস্যায় পড়েন, কারণ তারা ডেঙ্গুর লক্ষণ জানেন না। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধই উত্তম। আসুন জেনে নেই ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে কী কী উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে।
এগুলো ডেঙ্গুর লক্ষণ
মাথাব্যথা এবং জয়েন্টে ব্যথা
ঠান্ডা লাগার সাথে উচ্চ জ্বর ডেঙ্গুর লক্ষণ হতে পারে।
গলা এবং চোখ
পরীক্ষার ব্যর্থতা এবং ক্ষুধা হ্রাস
লাল ফুসকুড়ি
কিভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যায়
প্রতিরোধই ডেঙ্গুর একমাত্র চিকিৎসা। এ জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আগে থেকে প্রতিরোধের উপায় অবলম্বন করলে ডেঙ্গু এড়ানো যায়।
ডেঙ্গু মশা পরিষ্কার পানিতে বংশবৃদ্ধি করে, তাই কুলার বা এ জাতীয় কোনো গর্তে পানি জমা হতে দেবেন না, যেখানে এই মশার বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।
মশা এড়াতে চেষ্টা করুন। রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন কারণ ডেঙ্গু মশা রাতে বেশি সক্রিয় থাকে।
জমে থাকা পানি অপসারণ করা সম্ভব না হলে তাতে পেট্রোল বা কেরোসিন স্প্রে করুন যাতে মশা বংশবিস্তার করতে না পারে।
শরীর ঢেকে রাখুন। পুরো পোশাক পরা ভালো, না হলে মশা সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে আসে। মশা তাড়ানোর লোশনও লাগানো যেতে পারে।
ডেঙ্গু ছড়াতে শুরু করলে যে কাউকেই ধরতে পারে, তাই ডেঙ্গু হওয়ার আগেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান। এতে প্লেটলেট কমে যায়, তাই এমন জিনিস খান যা প্লেটলেট তৈরিতে সাহায্য করতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন জিনিস খাওয়া শুরু করুন। ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পেঁপের রস উপকারী বলে মনে করা হয়।
ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।