ধামরাইয়ের রথের কথা জানেন কি ? রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস
Dhamrai rathyatra history : রথযাত্রা আষাঢ় মাসে আয়োজিত অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব। ভারতীয় রাজ্য ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে এই উৎসব বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর কৃষ্ণের বৃন্দাবন প্রত্যাবর্তনের স্মরণে এই উৎসব আয়োজিত হয়ে থাকে।
তবে আপনি কি জানেন,এই রথ উৎসব আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য বাংলাদেশের ধামরাইয়ের রথযাত্রার জনপ্রিয়তাও কোনও অংশে কম যায় না। বাংলাদেশে অন্যতম প্রাচীন উৎসহব ধামরাইয়ের রথযাত্রা।
একটি বিশেষ ইতিহাস ধামরাইয়ের রথযাত্রার পিছনে রয়েছে। প্রচলিত রয়েছে, যশোপাল রাজার হাত ধরে ধামরাইয়ের রথযাত্রার সূচনা হয়। তিনি একবার হাতির পিঠে চড়ে বেড়াতে বেড়িয়েছিলেন ধামরাই এলাকার পাশের গ্রামে। হঠাৎ একটি মাটির ঢিবির সামনে গিয়ে হাতিটি থেমে যায়। হাজার চেষ্টাতেও সেই হাতি সামনে এগিয়ে যেতে পারে না। অবশেষে সেই মাটির ঢিবি খনন করা হয়। সেখান থেকে একটি মন্দির ও কয়েকটি মূর্তি পাওয়া যায়।
রাজা যশোপাল সেই মূর্তিগুলি বাড়িতে নিয়ে আসেন।এই মূর্তিগুলির মাধবের মূর্তিও ছিল। ধামরাই সদরে গ্রামের পণ্ডিত রামজীবন রায়কে তিনি ওই মাধব মূর্তি নির্মাণের দায়িত্ব দেন। মাধবের নামের সঙ্গে রাজা যশোপালের নাম জুড়ে নতুন বিগ্রহ তৈরি হয়। নাম হয় শ্রী শ্রী যশোমাধব। এখনও সেই মূর্তির পুজোর প্রচলন রয়েছে। এই দেবতাকে কেন্দ্র করেই পরবর্তী কালে শুরু হয় শ্রীশ্রী যশোমাধবের রথযাত্রা ও মেলা। প্রথমে রথটি বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। পরে পুনর্নিমাণ করে তা কাঠের বানানো হয়। ৩৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই রথযাত্রা চলে আসছে।
চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে ধামরাইয়ের রথযাত্রা পালিত হয়। টানা ১ মাস ধরে মেলা চলে ধামরাইয়ে। ধামরাইয়ের সুবিশাল রথ ৬ তলা, উচ্চতায় ৬০ ফুট।
প্রথমে এটি তিনতলা ছিল। তখন প্রথম ও দ্বিতীয় তলার চার কোণে চারটি প্রকষ্ঠ ও তিনতলায় ছিল একটি প্রকষ্ঠ। এই মেলা থাকে সার্কাস, নাগরদোলা, পুতুল নাচ, আরও অনেক কিছু রয়েছে ।