লড়াই ২৪ ডেস্ক: প্রত্যেক বছরের তুলনায় এবছরের শিক্ষক দিবস (৫ সেপ্টেম্বর) একেবারে আলাদা। তার কারণ লাদা করে নিশ্চয়ই বলে দিতে হয় না, কারণটা অবশ্যই করোনা ভাইরাসের মতো এক বিপজ্জনক মহামারী। শিক্ষক, শিক্ষিকার সঙ্গে ছাত্র ছাত্রীদের দেখা নেই বহু মাস। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এবার টিচার্স ডে অন্য বছরগুলির থেকে আলাদা।
এবছর শিক্ষক দিবসেও বন্ধ স্কুল। আগে এমন কবে হয়েছে ঠিক মনে পড়ছে না অনেকেরই। রবিবার পড়লে অবশ্য আগে বা পরে হয়েছে অনুষ্ঠান। কিন্তু এমন মাসের পর মাস স্কুল খোলেনি এচিত্র সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি বলে মানছেন প্রত্যেকেই।
এবার টিচার্স ডে-র প্রনাম থেকে শুরু করে সব কিছুই হবে সোশ্যাল মিডিয়া বা ইন্টারনেটে। হোয়াটসঅ্যাপে শুভ শিক্ষক দিবস বা মেসেঞ্জার যোগ করবে শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রীদের। এতদিনে অনলাইন ক্লাসে শিক্ষক শিক্ষিকারাও সড়্গড় হয়ে উঠেছেন, ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা তাঁরা নেবেন, আশীর্বাদও করবেন প্রাণ খুলে।
এক শিক্ষক আমাদেরকে জানিয়েছেন, এমনটা তিনি আগে কখনও দেখেননি। এমন দিনও যে আসতে পারে, তা ছিল তাঁর ধারণার অতীত। তবে করোনা বদলে দিয়েছে সব। কবে স্কুল খুলবে তা এখন রীতিমতো প্রশ্ন।
যেহেতু এখন নিউ নর্ম্যাল। তাই আগের বারের সঙ্গে এবছরের এই বিশেষ দিঙ্কে গুলিয়ে ফেলবেন না। আবেগের বশে শিক্ষক শিক্ষিকার বাড়ি চলে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। সামাজিক দূরত্ব মেনে একটা বছর না হয় দূর থেকেই শিক্ষককে উইশ জানান। তাতে মনে হয় না, আপনার টিচার খুব রাগ করবেন। কারণ তিনিও জানেন সময়টা প্যান্ডেমিক।
তবে মন খারাপ নিশ্চয়ই হবে সকলের। শিক্ষক শিক্ষিকাদের তো বটেই, ছাত্র ছাত্রীদেরও। কারণ এবার হবে না উল্লাস, এবার হবে না স্যারের বাড়িতে মজা, এবার ম্যামের বাড়িতে কোনও খেলাই হবে না। বন্ধ সব। করোনা ভাগ বসিয়েছে শিক্ষক দিবসেও।