fake vaccination camp
কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলিপ ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন তিনি। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে রাজ্য সরকারের নেতা; কর্মীরা যুক্ত বলে তোপ দাগলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘পুরো বিষয়টি সাজানো’। এদিন তিনি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, “এতদিন অন্যান্য সিন্ডিকেট চলতো, এখন ভ্যাকসিনের সিন্ডিকেট চলছে।” এছাড়াও তিনি আরও লেখেন, “এরমধ্যে তৃণমূল নেতাদের হাত আছে। ঘটনাটি পুরো সাজানো, তৃণমূলের লোক এর সঙ্গে যুক্ত আছে।”
ভ্যাকসিন প্রতারণা কান্ডে উঠে আসছে একের পর এক নয়া তথ্য, এতদিন লোক চক্ষুর সামনেই ভুয়ো নথি পত্র নিয়ে চলেছে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প। ভুয়ো IAS অফিসার পরিচয় দিয়ে চলে এই ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প। যার ফাঁদে পা দেন অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও। প্রতি মুহূর্তে এই তদন্তে তৈরি হচ্ছে এক নয়া মোড়। ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন হাজার কিন্তু স্পষ্ট উত্তর মিলছে না এখনো। ইতিমধ্যে তদন্তকারীরা আবার সন্দেহ করছে প্রতিটি ভ্যাকসিন আদতেই আসল ছিল কি না? তারই মধ্যে আবার এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে বিভিন্ন ছবিতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন তৃণমূল নেতার সঙ্গে। যা রাজনৈতিক মহলে তৈরি করছে এক উদ্বেগ। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শান্তনু সেন সহ একাধিক বড় পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে দেখা গেছে এই ভুয়ো ভ্যাকসিনকান্ডের মূল অভিযুক্তকে। সেই কারণে গোটা বিষয়টিই এখন রাজনৈতিক রঙে রেঙে গেছে।
আরও পড়ুন…..বিক্ষোভের বাদই বাড়ানো হল স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা
ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ লাগায়, তৃণমূলকে বিঁধতে এক মুহূর্ত দেরী করেনি বিজেপি। এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষ তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মাধ্যম দিয়ে এই গোটা ঘটনার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেন। তিনি আরও বলেন, এই কান্ডে তৃণমূলের কোনো নেতা বা কর্মীর যোগ আছে। তাছাড়াও তিনি আরও জানান, “এখানে এসএসসি, টেট, সিভিক পুলিশের চাকরির জন্য পয়সা নেওয়া হয়। ভ্যাকসিন পড়ে থাকছে দেওয়া হচ্ছে না- উদ্দেশ্য ক্রাইসিস তৈরি করা। হাতবদল হয়ে চড়া দামে বিক্রি করা।”