লড়াই ২৪ ডেস্ক: পৃথক উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের দাবি অযৌক্তিক নয়, সুর বদলে এমনটাই দাবি করলো দিলীপ ঘোষ। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার পাশে দাঁড়িয়ে শনিবার একথা বললেন দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, “দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে কোনো উন্নতি হয়নি উত্তরবঙ্গের। চিকিৎসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের জন্য অন্যত্র যেতে হচ্ছে উত্তরবঙ্গবাসীদের। কেন হাসপাতাল, ভালো স্কুল নেই? একই অবস্থা জঙ্গলমহলেরও। শালপাতা, কেন্দুপাতা নিয়ে মা বোনেরা সেখানে জীবিকা নির্বাহ করেন। কেন তাঁদের চাকরির জন্য রাঁচি, গুজরাটে যেতে হচ্ছে? দেশের স্বাধীনতা, উন্নয়নের লাভ পাওয়ার অধিকার নেই তাঁদের?” উল্লেখ্য, এর আগে জন বার্লা পৃথক উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের দাবি টেনে ছিল তখন দিলীপ ঘোষ সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করেননি আবার সমর্থনও করেননি। স্বাভাবিকভাবেই তাই তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা।
শনিবার সকালে উত্তরবঙ্গে পা রেখেই তৃণমূলের দিকে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। পুরুলিয়ায় তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্দুক হাতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের শাসক দলকে তালিবানের সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁর কটাক্ষ, “একটা গণতান্ত্রিক দেশে কোনো পার্টি কর্মসূচি করতে পারবে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিদর্শন করতে পারবেন না। এটা হতে পারে না। ” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন , “কাল দেখেছেন একজন সভাধিপতি উঁচিয়ে সকলকে চমকাচ্ছেন। তালিবানি শাসন চলছে। যে দলের নেতা সেই দলের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু নেওয়া হচ্ছে না কারণ, এরাই দলকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছে।”
প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে চুপ থাকেনি তৃণমূল। দার্জিলিং তৃণমূল সভাপতি পাপিয়া ঘোষ বলেন, “দিলীপ ঘোষের কোনো কাজ নেই। তাই ভোটের আগেও এমন নানা অনেক কথা বলেছেন। মানসিকভাবে অসুস্থ। অবসাদগ্রস্থ মানুষ। দিলীপ ঘোষের কথা শুনে বিভ্রান্ত হলে চলবে না। যারা ভোটের আগে মানুষকে ধর্মের নামে ভয় দেখিয়েছিল তারাই তালিবান। আমরা নই। মানুষ তার জবাব দিয়েছে ইতিমধ্যে।”