saraswati puja
সরস্বতী পূজার দিন ছাত্র, শিল্প সন্ধানী, যারা তাদের কর্মজীবনে অনেক অগ্রগতি পেতে চায় তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পূজা করে তার আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য বছরের সবচেয়ে বিশেষ দিন।
শিক্ষা ও কর্মজীবনে উন্নতির জন্য মা সরস্বতীর আশীর্বাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কৃপায় ব্যক্তি একাগ্রতা ও বুদ্ধিমত্তা লাভ করে, যার কারণে সে জীবনের প্রতিটি পরীক্ষায় সফল হয়। বাস্তুশাস্ত্র ও জ্যোতিষশাস্ত্রে বর্ণিত এই ব্যবস্থাগুলি যদি বসন্ত পঞ্চমীর দিনে করা হয়, তাহলে জীবনে কোনও সাফল্য পাওয়া অসম্ভব হবে না।
আপনার স্টাডি রুমে মা সরস্বতীর ছবি এমন জায়গায় রাখুন, যেখান থেকে পড়াশোনা বা কাজের সময় আপনার সামনে মা সরস্বতীর ছবি দেখা যায়। মা সরস্বতীর মূর্তিও রাখা যেতে পারে পড়ার টেবিলে। এতে একাগ্রতা ও বুদ্ধিমত্তা দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং প্রতিটি পরীক্ষা-সাক্ষাৎকারে সাফল্য পায়।
কাজের জায়গায় কোনও বাস্তু ত্রুটি থাকলে সরস্বতী পুজোর দিন তা দূর করুন। এ থেকে প্রাপ্ত ফলের ইতিবাচকতা বহুগুণ বেড়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, দেয়াল এবং স্টাডি টেবিলের মধ্যে যথেষ্ট দূরত্ব না থাকা একটি বড় বাস্তু ত্রুটি।
যারা চাকরি খুঁজছেন বা চাকরির জন্য পরীক্ষা-সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের উচিত উত্তর দিকে বসে পড়াশুনা করা। এতে আপনি শীঘ্রই একটি ভালো চাকরি পাবেন।
পশ্চিমে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অধ্যয়ন কক্ষ থাকা সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ঘরের রং হালকা সাদা বা হালকা ক্রিম হওয়ায় ঘনত্ব বাড়ে।
যদি লক্ষ্য অর্জনে অসুবিধা হয়, তাহলে সরস্বতী পুজোর দিন একটি বড় কার্ডশিটে আপনার লক্ষ্যগুলি লিখে একটি ভিশন বোর্ড তৈরি করে ঘরে রাখুন। এর মাধ্যমে, আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার উপায় খুঁজে পাবেন।
চেষ্টা করুন আপনার স্টাডি টেবিলটি যেন চৌকো না হয়ে আয়তাকার হয় এবং টেবিলটি সুন্দরভাবে সাজানো থাকে। এভাবে কাজ বা পড়াশুনা করলে ইতিবাচকতা বাড়ে।
পড়াশোনা বা কাজের সময় মুখ সবসময় পূর্ব বা উত্তর দিকে থাকা উচিত। এছাড়াও আপনার পিঠ দেয়ালের কাছাকাছি হওয়া উচিত। এটি দ্রুত সাফল্যের দিকে পরিচালিত করে।
saraswati puja