লড়াই ২৪ ডেস্ক: পেগসাস নিয়ে কোনো তথ্য থাকলে তা জানাতে হবে তদন্ত কমিশন। এমনই নোটিশ পাঠানো হল প্রথম শ্রেণীর সমস্ত সংবাদমাধ্যমের অফিসে।
নোটিশে জানানো হয়েছে, কোন ব্যাক্তি বা কোন সংস্থার কাছে পেগাসাস হ্যাক নিয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো তথ্য থাকলে তা পাথাতে হবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) এমবি লকুর এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যকে। সেই নোটিশ প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সেই তথ্য জানাতে পারে। বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া ৩০ দিনের পরেও কোনো তথ্য নেওয়া হবে। সেই জন্য একটি ঠিকানারও উল্লেখ্য করা হয়েছে এই নোটিশে- New Town Kolkata Development Authority, Major Arterial Road Kolkata- 700156. সেই সঙ্গে lokur.jbcoi@bangla.gov.in-তে ইমেল করেও তথ্য জানানো হবে।
আরও পড়ুন…………..পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা পদ থেকে ইস্তফা পিকের
স্পাইওয়্যার পেগাসাস নিয়ে বিতর্কের মধ্যে গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হবে। ইজরায়েলের এনএসও গ্রুপের পেগাসাস ছাড়াও আরও কোনো ম্যালওয়ার মাধ্যমে আড়ি পাতা চলেছে কি না এই সব কিছু খতিয়ে দেখবে কমিশন। এছাড়াও দেখা হবে কে আড়ি পাতছে, গোটা ঘটনার মাথা কোথায়, কোন ব্যাক্তি বা কোন গোষ্ঠীর প্ররোচনা বা উস্কানির মতো বিষয়-সহ কোন পরিস্থিতিতে আড়ি পাতা হয়েছিল, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা কী?- সমস্ত কিছুই ভালো করে খতিয়ে দেখবে কমিশন।
তবে কেন্দ্র তরফে এই পেগাসাস ব্যাপারে সাড়া মিলছে না সেরকম। ইদানিং সংসদে বিরোধীরা কেন্দ্র সরকারকে পেগাসাস প্রসঙ্গে একেবারে চিড়ে চ্যাপ্টা করে তুলেছে। কেন্দ্র তরফে জানানো হয়েছে, কোন নির্দিষ্ট ব্যাক্তির ওপর সরকারি নজরদারি চলছে, সেই দাবির স্বপক্ষে কোনো মজবুত ভিত্তি নেই। কেন্দ্রীয় সরকার আরও জানিয়েছে, ‘মৌলিক অধিকার হিসেবে বাকস্বাধীনতার প্রতিজ্ঞা হল ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি। আমরা সর্বদা খোলামেলা কথোপকথনের সংস্কৃতিতে জোর দিয়ে একটি অবগত নাগরিক সমাজের পক্ষে থেকেছি।’
তবে এই পেগাসাস প্রসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বয়ানানুযায়ী, ‘পেগাসাস হ্যাক-এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।’ বৈষ্ণ সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি করে, ‘অতীতে সুপ্রিমকোর্ট সহ সর্বপক্ষ এই অভিযোগ করে খারিজ করে দিয়েছিল। এই অভিযোগের কোনো তথ্যগত ভিত্তি নেই।’