পারিবারিক বিবাদের জেরে গৃহবধূকে জীবন্ত পুড়িয়ে দিল শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা, অভিযোগ পরিবারের
চুঁচুড়া: পারিবারিক বিবাদের জেরে মগরার এক গৃহবধূকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে ওই গৃহবধূ তাঁর শাশুড়ি সহ অন্যান্যদের অভিযুক্ত করে যাওয়ায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বুধবার সকালে অগ্নিদ্বগ্ধ ওই গৃহবধূ চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম নূপুর সাহা(৩৫)। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তাঁর শ্বাশুড়ি বেলারাণী সাহা ও স্বামী তাপস সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। আর এক অভিযুক্ত মৃতার শ্বশুরকে অবশ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মগরা থানার পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১২ বছর আগে মগরার সুকান্তপল্লির বাসিন্দা নূপুরদেবীর সঙ্গে মগরারই জয়পুরের তাপস সাহার বিয়ে হয়। ওই দম্পতির একটি ৮ বছরের পুত্রসন্তান আছে। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ওই গৃহবধূর উপরে নির্যাতন শুরু হয়। মূলত শাশুড়ি বেলাদেবীই নির্যাতন করতেন।
মঙ্গলবারও গৃহবধূকে নিয়ে পারিবারিক বিবাদ হয়। এরপরই সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হন। তাঁর পরিবারের লোকজন ঘটনার খবর পেয়ে এলে নূপুরদেবীর ছেলে প্রথম জানায় যে, ঠাকুমা তার মায়ের গায়ে আগুন দিয়ে দিয়েছে। এরপর নূপুরদেবীর বাড়ির লোকজন তাঁকে মগরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। তার আগেই তিনি শাশুড়ির বিরুদ্ধে গায়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ করে যান।
তাঁর বক্তব্য পরিবারের লোকজন মোবাইলে রেকর্ড করে রাখে। রাতেই ওই গৃহবধূকে আশঙ্কজনক অবস্থায় চুঁচুড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। বুধবার সকালে সেখানেই তিনি মারা যান।