নৃশংস! পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম না করায় বউমাকে শ্বাসরোধ করে খুন করল শ্বশুড়
দত্তপুকুর: পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম না করার অপরাধে বৌমাকে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে দত্তপুকুর থানার মণ্ডলগাতী এলাকার ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের জানা গোয়েছে, কয়েক বছর আগে মণ্ডলগাতীর পাশের গ্রাম কুলগাছিয়ার বাসিন্দা ২২ বছরের রেশমা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আজহারউদ্দিন হোসেনের। তিনি পেশায় গাড়ি চালক।
অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পুত্রবধূর ওপরে প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। শশুর মোজাফফর হোসেন প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরত এবং তাকে সেবা-শুশ্রূষা করতে হতো রেশমাকে।
এমনকি ‘খুশি’ করার জন্যও রাত-বিরেতে চাপ দেওয়া হত বৌমাকে। শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই এই বিষয়ে জোর করত বৌমাকে। বউমা রেশমা তা করতে অস্বীকার করলে, তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হত বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, সোমবার এই নিয়েই অশান্তি চলছিল। রেশমাকে নাকি বলা হয়েছিল শ্বশুরের পা ছুঁয়ে সালাম করতে, কিন্তু রেশমা তাতে রাজি হননি। তাই মারধর করা হয় তাঁকে। এর পরে বিকেলে শ্বশুরবাড়ির বেশিরভাগ সদস্য বাদুতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যান।
সেই সময়েই রেশমার শ্বশুর মোজাফফর হোসেন পুত্রবধূর গলায় মোবাইলের চার্জারের তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ। এমনকি মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইলেকট্রিক শকও দেওয়া হয় তরুণীকে।
ঘটনার খবর পেয়ে রেশমার বাপের বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন এবং রেশমাকে উদ্ধার করে বারাসাত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই মৃত রেশমার বাপের বাড়ির লোকেরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পলাতক। তাদের তল্লাশি চলছে। রেশমার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।