লড়াই ২৪ ডেস্ক: কাটমানি নিয়ে বেশ উতপ্ত রাজ্য রাজনীতি। ফের লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামে তৃণমূল চালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। বিজেপি নয়, দলের অভ্যন্তর থেকেই দলের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে কাটমানির অভিযোগ। দল চালাতে প্রয়োজন হয় কাটমানির। যা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে পঞ্চায়েতের প্রধান রিঙ্কু ঘোষও। এদিকে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলছেন, “দল চালাতে কাটমানির প্রয়োজন নেই, তবে প্রমাণ হবে শাস্তির ব্যবস্থা আছে।”
কাটমানির অভিযোগে একটা সময় গ্রাম-বাংলায় পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির একাধিক কর্তাকে বাড়ি ছাড়া হতে হয়েছিল। এবার এই কাটমানির অভিযোগ সরাসরি উঠে এল দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে, অভিযোগ করেছে তৃণমূলেরই এক সদস্য। তার অভিযোগ অনলাইন টেন্ডার নেওয়ার প্রক্রিয়াকে কেন অফলাইন করার উদ্যোগ কেন নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন….সরকারি খরচে রাশ টেনে দিল নবান্ন
গলসির গোহগ্রাম পঞ্চায়েতের টেন্ডারকে ঘিরেই উঠে এসেছে কাটমানির অভিযোগ। চলতি সপ্তাহে অর্থ উপসমিতির সভা ঘিরেই সদস্যদের মধ্যে বিতর্ক চরমে ওঠে। উপপ্রধান বিমল ভক্তের অভিযোগ, ‘পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু ঘোষ সরকারি টেন্ডার অফলাইনে করতে চাইছেন। প্রথমে বিডিও-এর ঘাড়ে দায় চাপাতে চেয়েছিলেন। মূলত নেতাদের পরামর্শেই তিনি অফলাইনে টেন্ডার করতে চাইছেন। রাস্তা, নর্দমা, পুকুরঘাট তৈরি টেন্ডার নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে গণ্ডগোল। প্রথমে অনলাইনে টেন্ডার প্রক্রিয়া চালু করার সিধান্ত হলেও টেন্ডার নোটিশ জারি করা হয়নি। অফলাইন টেন্ডার হলেই নেতাদের পকেট ভরবে। কিছু ঠিকাদার বিনা প্রতিযোগিতায় বরাত পেয়ে তাঁদের ওই পার্সেন্টেজ দেবেন। অনলাইনে করলে সেটা হবে না।’
অপরদিকে, পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, দ্রুতগতিতে কাজ সম্পন্ন করার জন্যই অনলাইন থেকে অফলাইনে টেন্ডার আনা হয়েছিল। দল চালাতে যে বিভিন্ন ভাবে টাকা নেওয়া হয় তা তিনি স্বীকার করেন। রিঙ্কু ঘোষ বলেন, ‘দল চালাতে বিভিন্ন ভাবে টাকা নেওয়া হয়, তা সবাই জানে। নাহলে দল চলবে কীভাবে? বিডিও সাহেব বলেছিলেন অনলাইনে কাজটা করলে দেরী হতে পারে। তাই তার পরামর্শেই অফলাইন টেন্ডারের কথা বলেছিলাম।’
অপরদিকে বিডিও সঞ্জিত সেনের বক্তব্য, এই রকম কোনো কথাই নাকি হয় নি। তিনি জানিয়েছেন, অফলাইনের থেকে বেশি অনলাইন টেন্ডার বা ই-টেন্ডারকেই উৎসাহ দেওয়া হয়ে থাকে। ৫ লক্ষ টাকার ওপর কাজ করলে ই-টেন্ডার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু গলসি গোহগ্রাম পঞ্চায়েত দেড় লক্ষ টাকার কাজেও ই-টেন্ডার ব্যবহার করে থাকে। তাই ৫ লক্ষের নীচে ই-টেন্ডার ব্যবহার করা যেতেই পারে।