ব্যায়াম-ডায়েটিং ছাড়াই ওজন কমাতে চান, রইল সহজ টিপস
যুব সমাজ থেকে মধ্যবয়সী এখন সবাই প্রায় নিজের ওজনকে ফিট রাখতে চান। তবে কর্মব্যস্ত মানুষের মধ্যে সেই ইচ্ছা প্রবল থাকলেও তা আর বাস্তবে সম্ভব হয়না। আর কিছু না, একটিই সমস্যা তা হল সময়করে নিয়মিত ব্যায়াম-ডায়েটিং করে না উঠতে পারে। যদিও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ওজন কমাতে বা শরীর ফিট রাখতে ব্যায়াম বা ডায়েটিং এর উপায়ই বাতলে দেন। তবে আজ আমরা এই উপায়গুলি ছাড়াও আরও কিছু সহজ টিপস আপনাকে জানাতে চলেছি, যা আপনি রোজকার কর্ম জীবনে নিজেকে ফিট রাখতে অনায়াসে অনুসরণ করতে পারবেন।
প্রথমেই বলে রাখি ওজন কমাতে ব্যায়াম করা কি সেটা আমরা সবাই জানি। তবে ডায়েটিং করার ব্যাপারে আমাদের কিছু ভুল ধারনা আছে। সেটা হল ডায়েটিং করা মানে নিজেকে ক্ষুধার্থ রাখা বা নিজের পছন্দেই খাবার থেকে দূরে সরে থাকা নয়। কারণ কিছুদিন এমন ভাবে ডায়েটিং করার মানুষ নিজের পছন্দের খাবারের দিকে পুনরায় ঝুঁকে যান বা আপনার মস্তিষ্ক সেই সুস্বাদু খাবার খেতে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। যার ফলে ওজন হ্রাস করতে এতদিন যে কঠোর বা নিয়মিত পরিশ্রম তা এককথায় বেকার চলে যায়, উপরন্তু বেশ কিছুদিন ডায়েটিং করার পর হঠাৎ করে পছন্দের সুস্বাদু খাবারের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় ওজন আরও বৃদ্ধি পায়।
তবে ওজন কমাতে নীচের এই সহজ টিপস গুলি নিয়মিত অনুসরণ করলে আপনি চিরকাল ফিট থেকে যেতে পারবেন, যা শুধুমাত্র অল্প সময়ে ব্যায় করে ও সচেতন হয়েই সম্ভব।
Read More – কমবে চিন সহ অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীলতা, ভারতেই খোঁজ বিরল ধাতুর
১. আগ্রহী ব্যক্তিদের খাবারে বেশি বেশি করে মশলা ব্যবহার করা উচিত। এটি ক্ষুধার শক্তি অনেকমাত্রায় হ্রাস করে।
২.খাদ্যে লবন ও চিনির পরিমান হ্রাস করা উচিত। ৩০র ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের লবন ও চিনি পুরোপুরি এড়িয়ে চলায় শ্রেয়।
৩. সময়মত খাবার খেতে খাওয়া উচিত। কারণ অকাল বা দেরিতে খাবার খাওয়া ওজন কমাতে গিয়ে আপনার শরীরে অন্য রোগকে দানা বাঁধতে সুযোগ করব দেয়।
৪. রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে ৬ ঘন্টা আগে দিনের শেষ খাবার খান।
৫. সবকিছুর সাথে ভারসাম্য বাজিয়ে রাখতে বিশেষজ্ঞরা খাবার ও পানীয় খাওয়ার পরামর্শ দেন।
৬. সপ্তাহে এক-দুবার নিজের পছন্দের খাবার খান। এটাতে আপনার ডায়েটিং এর ধারা বাজিয়ে রাখা খুব সহজেই সম্ভব।