eggs benefits and side effects
নয়াদিল্লি: সমস্ত খাবারের মধ্যে ডিম সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসাবে বিবেচিত। এতে থাকা পুষ্টিগুণের কারণে একে সুপারফুড বলা হয়। একটি সম্পূর্ণ ডিমে একটি মুরগির সমান পুষ্টি থাকে।
ডিম উচ্চ কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার। তাই লোকেরা প্রায়শই অতিরিক্ত ডিম না খাওয়ার পরামর্শ দেন, ওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ডিমের কোলেস্টেরলের মধ্যে কী সম্পর্ক এবং একদিনে কটা ডিম নিরাপদ।
বেশিরভাগ মানুষ কোলেস্টেরলকে একটি খারাপ জিনিস বলে মনে করেন, কিন্তু এটি সঠিক না। পূর্ববর্তী কিছু গবেষণায় জানা গিয়েছে, উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
কোলেস্টেরল শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়- আসলে, আমাদের পুরো শরীরের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য কোলেস্টেরল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোলেস্টেরল কোষের ঝিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোলেস্টেরল টেস্টোস্টেরন, ইস্ট্রোজেন এবং কর্টিসলের মতো প্রয়োজনীয় স্টেরয়েড হরমোন তৈরি করতে সহায়তা করে।
আমাদের লিভার স্বাভাবিকভাবেই দেহের জন্য পর্যাপ্ত কোলেস্টেরল তৈরি করে এবং আমরা যখন কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাই তখন দেহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোলেস্টেরলের পরিমাণ হ্রাস করে।
আরও খবর – Metro rail recruitment: মাধ্যমিক পাশে মেট্রো রেলে চাকরি, বেতন ১৮ হাজার
ডিম এবং কোলেস্টেরলের সম্পর্ক- বেশিরভাগ লোক একদিনে কম ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন, বিশেষত ডিমের হলুদ অংশ যাকে বলা হয় কুসুম, এটি কম খেতে বলা হয়। একটি মাঝারি আকারের ডিমের মধ্যে 186 মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, যা প্রতিদিনের খাওয়ার প্রস্তাবিত 62 শতাংশ। ডিমের সাদা অংশে আরও বেশি প্রোটিন এবং কোলেস্টেরল পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২ টি থেকে ৬ টি কুসুম খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। যদিও কিছু গবেষক বলেছেন যে এর অনেক কিছুই ব্যক্তির খাওয়া, ধূমপান এবং ব্যায়ামের অভ্যাসের উপরও নির্ভর করে। কেবল ডিম খেলে হৃদরোগ হতে পারে এমন কোনও প্রমাণ নেই। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ডিম খাওয়ার ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস হয়।
eggs benefits and side effects