উত্তরপ্রদেশ: পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্য নিজের ছোট বোন ও তার প্রেমিককে খুন করল দাদা। পরে নিজের ছোট ভাইকেও খুন করে ওই অভিযুক্ত যুবক। দাদার কুকীর্তি সব দেখে ফেলেছিল ভাই। তাই বেঘোরে মরতে হয়েছে তাকেও। খুনের ঘটনা আত্মহত্যা বলে সাজানোর সব পরিকল্পনাও করেছিল অভিযুক্ত। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে পারেনি সে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলার।
জানা গিয়েছে, এক তুতো ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল ওই অভিযুক্ত চাষির বোন। বিয়ের কয়েকদিন আগেই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় সে। এলাকায় যথেষ্ট বদনাম হয় অভিযুক্তের পরিবারের। তাই পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্য নিজের বোন ও বোনের প্রেমিককে খুন করে অভিযুক্ত যুবক। তারপর গ্রামেরই ভিতর গলায় ফাঁস লাগিয়ে একটি গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় দু’জনের দেহ। গোটা ঘটনা এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যাতে দেখে মনে হয় তাঁরা আত্মহত্যা করেছে।
তবে অভিযুক্ত যুবকের এই কুকর্ম দেখে ফেলেছিল তার ভাই। যাতে সে কাউকে কিছু জানাতে না পারে তাই জন্য নিজের ভাইকেও খুন করে অভিযুক্ত এবং ওই একই কায়দায় উদ্ধার হয় তার ঝুলন্ত দেহ। আর এতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। শুরু হয় তদন্ত। সামনে আসে আসল ঘটনা।
এই কাণ্ডে মৃতদের দাদা ছাড়াও আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তকে এই কাজ করার জন্য সাহায্য করেছিল তার ৩ বন্ধু। পুলিশ সূত্রে খুবর, অভিযুক্ত যুবকের নাম বিনীত, পেশায় চাষি। ১ জুলাই তার বোন বান্টি এবং বোনের প্রেমিক ও নিজের তুতো ভাই সুখিয়াকে খুন করে সে। এরপর গোটা ঘটনা দেখে ফেলায় নিজের ভাই কুলদীপকেও খুন করে বিনীত। গ্রামেরই একটি গাছ থেকে উদ্ধার হয় ওই ৩ জনের ঝুলন্ত দেহ। তদন্ত করতে গিয়ে আসল ঘটনা সামনে আসে। বিনীত এবং তার ৩ বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ভাইবোনকে খুন করতে সাহায্য করায় এক বন্ধুকে আড়াই লাখ টাকাও দিয়েছিল বিনীত। ভাইবোনের প্রতি বড় দাদার এমন নৃশংস আচরণ দেখে হতবাক দুঁদে পুলিশকর্তারাও।
বিনীত এবং তার ৩ সঙ্গীকে জেরা করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, জেরায় নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে এই ৪ জন। পুলিশ জানিয়েছে, বিনীত বলেছে পরিবারের সম্মান রক্ষার্থেই এই কাজ করেছে সে। আর ভাই কুলদীপ সব দেখে ফেলায় তাকেও মেরে ফেলেছে। বিনীতের দেওয়া আড়াই লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।