রাজ্যপালকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর
কলকাতা: করোনা আবহের মধ্যেও থেমে নেই রাজনৈতিক তর্জা। সোমবার বিকেলে রাজ্যপাল তথা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জগদীপ ধনখড় অধ্যাপক গৌতম চন্দ্রকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা নিয়েই শুরু হয় বিতর্কের ঝড়।
তারপরই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি রাজ্যপালকে অনুরোধ করব, তিনি যেন এই কাজ না করেন। মস্তান সুলভ আচরণ যেন না আসে তাঁর তরফ থেকে।’
তিনি ক্ষোভের সুরে আরও বলেন, ‘আমি অবাক হচ্ছি রাজ্য মহোদয়ের কাজকর্ম দেখে। তিনি প্রথমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, তার পর একটার পর একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন।
তিনি বুক বাজিয়ে বলছেন, ‘আমি আচার্য, আমি আচার্য!’ আমরা বলছি আইন এবং যে বিধি আমাদের আছে, সেই বিধি অনুযায়ী কাজ করা উচিত। উনি তা করেননি। আমি বলতাম না, কিন্তু উনি সবটাই প্রকাশ্যে করছেন বলে আমি বলতে বাধ্য হলাম’।
এতে অবশ্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, ‘সব কিছু আস্তে আস্তে রাজ্যের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। পুলিশ, রেশনও হাতের বাইরে চলে গেছে। এবার কি উপাচার্য ও চলে যাবে বলে ভয় পাচ্ছে সরকার? রাজ্যপাল তো বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউকে ফোন করতেই পারেন, খোঁজ নিতেই পারেন, কারণ তিনি আচার্য।
একে মাস্তানি বলে মনে হচ্ছে কেন সরকারের।’ আর এক বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, ‘পার্থবাবু আসলে এমন উপাচার্য চাইছেন যাঁরা দরকারে ধর্মতলায় তৃণমূলের ধর্ণা মঞ্চে বসতে দ্বিধা করবেন না। ঠিক যেমন কদিন আগেই দেখা গিয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে তৃণমূল ধর্ণাস্থল আলো করে বসেছিলেন কিছু উপাচার্য।’