নদিয়া: টানা ৫ দিন ধরে সন্তানকে নিয়ে নিখোঁজ ছিলেন বাবা, অবশেষে ধরা পড়লেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদা থানার কাঁঠালপুলি মিস্ত্রিপাড়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বাবলু বিশ্বাস। তাঁর স্ত্রী মমতা বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার তাঁদের মধ্যে খুব অশান্তি হয়। তাঁকে মারধর করেন স্বামী। এরপর তাঁদের ১৩ মাসের শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান স্বামী বাবলু বিশ্বাস। চারিদিকে খোঁজ খবরও করা হয়, কিন্তু হদিস পাওয়া যায় না।
কোথাও সন্তানের হদিশ না পেয়ে চাকদা থানাতে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সম্ভবত কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে স্বামী সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্ত্রী মমতা বিশ্বাস।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই নিখোঁজ ডায়েরি অনুযায়ী পুলিশ ১৩ মাসের দুধের শিশুকে উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা চালায়নি। বাধ্য হয়েই মমতা বিশ্বাস রানাঘাটের পুলিশ সুপার সহ চাইল্ড প্রটেকশন অফিসার এবং চাইল্ড লাইনের দ্বারস্থ হন। এরপরে কিছুটা নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন।
১৫ জুন, সোমবার বিকেলে চাকদা থানার শিমুরালির মনসাপোতা এলাকায় একজন প্রতিবেশী গাড়িচালক গাড়ি নিয়ে ফেরার সময় বাবলু বিশ্বাসকে তাঁর সন্তান ঋষভকে নিয়ে রাস্তায় হেঁটে যেতে দেখেন।
তাঁকে দেখে চিৎকার করতে শুরু করেন ওই প্রতিবেশী। এরপর প্রাণের ভয়ে সন্তানকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বাবলু বিশ্বাস।
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, বাবলু পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি মুম্বাইতে কাঠের কাজ করতেন। লকডাউনের কয়েকদিন আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। কয়েকদিন পর থেকেই পরিবারে আর্থিক অনটন শুরু হয়। সেই কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তিও চলছিল। সাংসারিক আর্থিক অনটন মেটাতে তিনি কয়েক মাস ধরে মাছের ব্যবসা শুরু করেছিলেন বলে যানা গিয়েছে।
জেলার সুপার ভিএসআর অনন্তনাগ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত বাবলু বিশ্বাসকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে তিনি তাঁর সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।